ওএমএস’র দোকানে চালের জন্য দীর্ঘ লাইন

সারাদেশে সরকারের ওএমএস এর কার্যক্রম ১লা জানুয়ারী থেকে শুরু হলেও আগৈলঝাড়ায় ১০ জানুয়ারী থেকে শুরু হয়েছে। এ উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৫ জন ডিলার নিয়োগ দেয়া হলেও পরবর্তীতে ওএমএস এর চাহিদা বেশী থাকায় আরোও ২জন ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বর্তমান ৭ জন ডিলারই সরকার দলীয় সমর্থীত বলে জানাগেছে। সপ্তাহে শুক্র ও মঙ্গলবার বাদে ৫দিন ৭ জন ডিলার ৭ হাজার কেজি চাল দুস্থ্যদের মাঝে ২৪ টাকা দরে জন প্রতি ৫ কেজি চাল বিক্রি করছে। প্রতিদিন এ  দোকান গুলোতে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। প্রতিদিন ৭ মেঃ টন চাল দুস্থ্যদের মাঝে বিক্রয় করা হলেও আগৈলঝাড়ায় চাল ও ধানের বাজারে এর কোন প্রভাব পড়েনি। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ওএমএস-এর চাল বিক্রয়ের সরকারী নিয়ম থাকলেও অনেক ডিলারের অজ্ঞাত কারণে ১২টার মধ্যেই দোকানের চাল বিক্রি শেষ হয়ে যায়। গতকাল রোববার সকালে ডিলারদের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, দীর্ঘ লাইন দিয়ে চালের জন্য নারী-পুরুষ অপেক্ষা করছে। প্রতিদিনই লাইনে দাড়ানো লোকজনের অনেকে চাল না পেয়ে খালী হাতে ফিরে যাচ্ছে। উপজেলা সদর থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে এ কার্যক্রম শুরু করা  হলেও বাজারে এর কোন প্রভাব পড়েনি। চাল নেয়ার সময় ভোটার পরিচয় পত্র দেখানোর নিয়ম থাকলেও অনেকে ডিলার তা মানেনি। চাল বঞ্চিত লোকজন অভিযোগ করেন,  সদর সহ ইউনিয়ন পর্যায়ে ৭টি ওএমএস-এর দোকান দেয়ার পরেও আমরা কোনদিন দেরীতে এসে চাল পাচ্ছিনা। কাছের একই পরিবারের ২/৩ জন এসে চাল নিয়ে যাচ্ছে। অনেক ডিলার তাদের পরিচিত লোকজনকে ৫কেজির বেশী চাল দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠছে।

আগৈলঝাড়ার ওএমএস এর ডিলাররা হলেন গৈলা ইউনিয়নে অপূর্ব লাল সরকার, রাজিহার ইউনিয়নে মনি বাড়ৈ, রতপুর ইউনিয়নে রবিন্দ্র নাথ হালদার, বাগধা ইউনিয়নে আকবর হোসেন। বাকাল ইউনিয়নে ওএমএস এর কোন ডিলার দেওয়া হয়নি। উপজেলা সদরে বসে চাল বিক্রি করছেন সুব্রত বেপারী, বারেক হাওলাদার ও ইলিয়াস সরদার। উপজেলার ওএমএস এর কার্যক্রমে ৭ জন ডিলারই সবাই বর্তমান সরকার দলীয় সমর্থক বলে জানা গেছে।