মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তা সত্বেও প্রশাসন নির্বিকার। এ ব্যাপারে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যুবলীগ কর্মী রিয়াজকে হত্যার ঘটনায় তার ভাই ইলিয়াছ হাওলাদার বাদী হয়ে গত ২৮/১২/২০১০ বাকেরগঞ্জ থানায় ১১ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং- ২৯/৩৪৮। মামলা ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নিয়ামতি ইউনিয়নের কাফিলা গ্রামের আব্দুল খালেক হাওলাদারের পুত্র যুবলীগ কর্মী রিয়াজের সাথে একই গ্রামের মৃত হাতেম আলী হাওলাদারের পুত্র তৈয়ব আলী হাওলাদার, জালাল হাওলাদারের পুত্র রনি হাওলাদার, রশীদ হাওলাদারের পুত্র রাসেল হাওলাদার, মোশাক হাওলাদারের পুত্র রানা হাওলাদার ও মৃত ফকর উদ্দিন হাওলাদারের পুত্র মনিরুচ হাওলাদারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
তারা বিভিন্ন সময়ে রিয়াজকে মারধর করিয়াছে এবং খুন জখমের হুমকি দেয়। গত ২৪/১১/২০১০ রিয়াজ রাস্তার কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে দুপুর অনুমান ২.৩০টায় কাফিলা সাকিনের মনিরুচ হাওলাদারের বাড়ির সামনে যায়। তাহার পর থেকে রিয়াজের কোন সন্ধান না পেয়ে তার পরিবার অনেক খোজাখুজি করে কাফিলা সাকিনের মনিরুচ হাওলাদারের বাড়ির পশ্চিম ভিটির বসত ঘরের অনুমান ১০০ হাত দক্ষিনে পুকুরের দক্ষিন পাশে বাশ ঝাড়ের নিচে ক্ষেতের পাশে বেড়ের মধ্যে রিয়াজের লাশ পায় তার পরিবার। মামলার বাদী রিয়াজের ভাই ইলিয়াস হাওলাদার ও তার পরিবারের ধারনা পূর্ব শত্র“তার জের ধরে উল্লেখিত আসামীরা যুবলীগ কর্মী রিয়াজকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। হত্যা করার পর থেকে আসামীরা মামলার বাদীকে এই বলে হুমকি দিচ্ছে যে, মামলা-মোকদ্দমা নিয়া বাড়াবাড়ি করিলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানি করিবে। এমনকি হত্যা করার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মামলার বাদী ইলিয়াস হাওলাদার। গত দেড় মাস অতিবাহিত হলেও থানা পুলিশ এখনও পর্যন্ত মামলার কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ ঘটনায় নিয়ামতি পুলিশ ফাড়ির এস আই জহিরের ভূমিকা নিয়ে জনমনে সংশয় দেখা দিয়েছে।
এ ঘটনায় মামলার বাদী ইলিয়াস ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন বলে জানান। মামলার বাদী অসহায় ইলিয়াছ ও তার পরিবার পুলিশের আইজিপি, জেলা পুলিশ সুপার ও র্যাব সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট যুবলীগ কর্মী রিয়াজের হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারপূর্বক তাদের পরিবারের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন।