র্যাবের সঙ্গে বন্ধুকযুদ্ধে জলদস্যু প্রধান কৃষ্ণ সাগর নিহত

অলী ফকির ওরফে কৃষ্ণ সাগর (৩৯) নিহত হয়েছে। বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার দক্ষিন চরদোয়ানী সংলগ্ন সুন্দরবন এলাকায় মঙ্গলবার ভোররাতে এই বন্ধুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। র্যাবের এ সময় ঘটনাস্থল থেকে চারটি ওয়ানশুটার গান, একটি রামদা এবং আট রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে। র্যাবের-৮ এর সহকারী পরিচালক ক্যাপ্টেন মোঃ আব্দুর রাকিব এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, নিহত কৃষ্ণ সাগরের বাড়ী বাগেরহাটের সদর উপজেলার পিসিডিমা গ্রামে। সে সুন্দরবন কেন্দ্রীক জলদস্যু কৃষ্ণ সাগর বাহিনীর প্রধান। তার বিরুদ্ধে বাগেরহাট ও রামপাল থানায় একটি হত্যা, পাঁচটি ডাকাতি, এবং অস্ত্র আইনে ও  মারামারির ঘটনায় তিনটি করে মামলা থাকার বিষয়টি র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে। র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং মোবাইল ট্রাকিং এর মাধ্যমে র্যাবের নিশ্চিত হয় কৃষ্ণ সাগর পাথরঘাটার চরদোয়ানী সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। অস্ত্রের একটি বিশাল চালান নৌপথের মাধ্যমে সেখানে আসবে বলে র্যাবেরের কাছে তথ্য ছিল। সেই তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ৩ টার দিকে দক্ষিন চরদোয়ানী সংলগ্ন একটি পরিত্যাক্ত কুঁড়েঘরে কৃষ্ণ সাগরের অবস্থান নিশ্চিত করে। কুঁড়েঘরের পশ্চিম পাশে সশস্ত্র ব্যক্তিদের অবস্থান টের পেয়ে র্যাবের ওই এলাকা ঘীরে ফেলে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্রধারীরা অতর্কিত র্যাবের সদস্যদের উপর গুলি বর্ষন শুরু করে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় র্যাবের কৌশলগত অবস্থান নিয়ে সরকারী জানমাল ও আত্মরক্ষার তাগিদে তারাও পাল্টা গুলিবর্ষন করে। তখন থেমে থেমে উভয় দলের মধ্যে ১৫-২০ মিনিট গুলি বিনিময় চলতে থাকে। এক পর্যায়ে গুলি বর্ষন থেমে যায়। আনুমানিক ভোররাত পৌনে ৫ টার দিকে পাথরঘাটা থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ কৃষ্ণ সাগরের লাশ উদ্ধার করে।