সাবেক কাউন্সিলরকে কুপিয়ে জখম ॥ স্কুলের অনুষ্ঠান পন্ড

গতকাল রবিবার বিকেলে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে। এসময় হামলাকারী সন্ত্রাসীরা তার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুরসহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাট করেছে। সন্ত্রাসী হামলার কারনে পাশ্ববর্তী বেগম আখতারুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা ও পুরস্কার বিতরনীর অনুষ্ঠান পন্ড হয়ে যায়। হামলার একপর্যায়ে শত শত গ্রামবাসীর সাথে সন্ত্রাসীদের সন্ধ্যায় কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। পরবর্তীতে পুলিশ ও আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। গুরুতর আহত তিনজনকে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী, আহত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্র“তার জেরধরে পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাবুল খানের পুত্র সাদ্দাম খানের নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একদল সন্ত্রাসীরা রবিবার বিকেল ৫ টার দিকে পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর গোলাম মোর্শেদ পান্না মিয়ার গেরাকুল মিয়াবাড়িস্থ ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে পান্না মিয়াকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা তার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে নগদ অর্থ ও মূল্যবান মালামালসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় পাশ্ববর্তী গেরাকুল বেগম আখতারুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাষিক ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান চলছিলো। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গৌরনদী পৌরসভার মেয়র মোঃ হারিছুর রহমান হারিছ। সন্ত্রাসীরা দ্বিতীয় দফায় অনুষ্ঠানস্থলে পান্না মিয়ার পুত্র সেতু মিয়ার ওপরও হামলা চালায়। এসময় হামলায় আহত হন স্থানীয় সোয়ান আহম্মেদ, সোহেল সন্যামাত, রানা সন্যামাত, কলেজ ছাত্র রিপন সন্যামাতসহ কমপক্ষে ৯ জন। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় স্কুলের পুরো অনুষ্ঠান পন্ড হয়ে যায়। একপর্যায়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ও গেরাকুল গ্রামের শত শত গ্রামবাসী লাঠিসোটা নিয়ে সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধের জন্য ধাওয়া করে। সন্ত্রাসীদের সাথে গ্রামবাসীর কয়েকদফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসীদের পক্ষালম্বন করায় গ্রামবাসী ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাবুল খান ও কাসেমাবাদ গ্রামের সেকান্দার আলী সিকদারকে ওইদিন সন্ধ্যায় স্কুলের একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম-পিপিএম’র নেতৃত্বে একদল পুলিশ ও আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে অবরুদ্ধদের উদ্ধার করেন। গুরুতর আহত পান্না মিয়া, সেতু মিয়া ও রিপন সন্যামাতকে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। গতকাল রবিবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে পুলিশ হামলাকারী ৫ সন্ত্রাসীকে আটক করেছে।