ভোলার গ্যাসে দক্ষিণাঞ্চলের অন্ধকার দূর করবো-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

দক্ষিণাঞ্চলের অন্ধকার দূর করা হবে। শিল্প-কল-কারখানা স্থাপনের মধ্য দিয়ে এ অঞ্চল আলোকিত হয়ে উঠবে। বিদ্যুতের লোডশেডিং থাকবে না। লবণসহিষ্ণু জাত উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে বরিশালকে আবার বাংলার শস্যভান্ডার হিসাবে গড়ে তোলা হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ে বিরোধীদলের সমালোচনার জবাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে মানুষ কখনোই খাদ্যে কষ্ট পাবে না। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত এক বাংলাদেশ। সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। মঙ্গলবার দক্ষিণ বাংলার কোটি মানুষের স্বপ্নের দপদপিয়া সেতুর (আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতু) উদ্বোধন ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনশেষে সেতুসংলগ্ন রূপাতলীতে আয়োজিত এক জনসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দক্ষিণাঞ্চল সব সময়ই অবহেলিত। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই কেবল দক্ষিণাঞ্চলের কিছু উন্নয়ন হয়। বিগত আওয়ামী লীগ আমলে এ অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত জোট সরকার সেই ধারা অব্যাহত রাখলে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। জোট সরকারের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি ছাড়া জাতিকে আর কিছুই দিতে পারেনি। নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন ছাড়া জনগণের ভাগ্যের উন্নয়নে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের কোনো ভূমিকা ছিল না। ২০০১ সালের নির্বাচনোত্তর সংখ্যালঘু নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়ার ২৫ হাজার মানুষ তখন গোপালগঞ্জের রামশিলে আশ্রয় নিয়েছিল। শেখ হাসিনা বলেন, যারা বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করার চেষ্টা করেন তারা ২০০১ সালের পরবর্তী দু’বছরে দেশের কি উন্নয়ন হয়েছিল তা বর্তমান সময়ের সাথে তুলনা করলেই বাস্তব অবস্থা বুঝতে পারবেন। তিনি বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ আমলে আমরা সারাদেশে ১৯ হাজার ছোট-বড় সেতু ও কালভার্ট এবং ৬২ হাজার কিলোমিটার কাঁচা-পাকা সড়ক নির্মাণ করেছিলাম। গত সরকারের সময় যমুনা নদীর উপর আমরা বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ করেছিলাম। এবার ক্ষমতায় এসে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্যোগ নিয়েছি। এ সরকারের আমলেই এ সেতু নির্মাণ করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ মহাজোটের প্রার্থীদের ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছে। সদ্য সমাপ্ত পৌর নির্বাচনে একটি ব্যতিত এ বিভাগের মোট ১৮টি পৌরসভায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের আপনারা বিজয়ী করেছেন। এর প্রতিদান অবশ্যই আপনারা পাবেন। বরিশালের উন্নয়নে কোনো দাবি-দাওয়ার প্রয়োজন নেই, আমরাই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। সে অনুযায়ী এ বছরই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। কুয়াকাটাকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। বরিশালে মেরিন একাডেমী স্থাপন, জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজ ভাঙ্গা কারখানা স্থাপন করা হবে। বেকুটিয়া ও আড়িয়াল খাঁ নদীর উপর সেতু নির্মাণ করা হবে। কুয়াকাটার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সহজ করতে লেবুখালী নদীর উপর সেতু নির্মাণ করা হবে। বরিশাল-ফরিদপুর মহাসড়ককে ৪ লেনে উন্নীতকরণ ও বরিশালে শিশু হাসপাতাল স্থাপনসহ নগরীর সৌন্দর্য বর্ধনে বরাদ্দের আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোলায় প্রাপ্ত গ্যাস দিয়ে বিদু্যৎ কেন্দ্র স্থাপন করে এ অঞ্চলের অন্ধকার দূর করা হবে। সুপার সাইক্লোন সিডর ও আইলায় দক্ষিণাঞ্চলের যেসব ভেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা পুনঃনির্মাণের পাশাপাশি নতুন ভেড়িবাঁধ ও নদী ভাঙ্গন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে। বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে দক্ষিণে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে। তিনি উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কোথাও এক তোলা পরিমাণ জমি খালি রাখা যাবে না। লবণসহিষ্ণু জাত উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে বাংলার শস্যভান্ডার বরিশালের গৌরব ফিরিয়ে আনা হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত এক বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাপী খাদ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তবুও মানুষ যাতে না খেয়ে থাকে সেজন্য ভিজিএফ, ভিজিডি, বয়স্কভাতার পাশাপাশি ওএমএস কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরাই প্রথম বর্গাচাষীদের মাঝে কৃষিঋণ বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছি। এবার কৃষক ধান ও পাটের সঠিক দাম পেয়েছে। বেকারত্ব দূরীকরণে ন্যাশনাল সার্ভিস চালুর পাশাপাশি যুবকদের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ঋণদান কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, আমার পিতা বাঙ্গালী জাতিকে পরাধীনতার শৃংখল মুক্ত করে গেছেন। কিন্তু অর্থনৈতিক মুক্তির আগেই সপরিবারে তাকে হত্যা করা হয়েছে। পিতার আদর্শ নিয়ে বাংলার মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে কাজ করে যাচ্ছি। প্রয়োজন হলে বাবার মতো রক্ত দিয়ে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলব।

মহানগর আওয়ামী লীগের আহবায়ক সিটি মেয়র শওকত হোসেন হিরনের সভাপতিত্বে জনসমাবেশে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু এমপি, তোফায়েল আহমেদ এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডঃ ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, সাবেক চীফ হুইপ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, জাতীয় পার্টি (এ) মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডঃ শাজাহান মিয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ, জনতা ব্যাংকের পরিচালক বলরাম পোদ্দার ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডঃ আফজাল হোসেন। সমাবেশ পরিচালনা করেন সংসদ সদস্য তালুকদার মোঃ ইউনুস ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডঃ আফজালুল করিম।

বর্ণিল সাজে কীর্তনখোলার দু’তীর
প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে বর্ণিল সাজে সেজেছিল বরিশাল শহর ও কীর্তনখোলা নদীর দু’তীর। সড়ক-মহাসড়কের পাশে একের পর এক বিশাল বিলবোর্ড ও ব্যানার-তোরণের পাশাপাশি কীর্তনখোলার দু’তীরে সাজানো-গোছানো পরিবেশ দেখতে হাজারো উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। সকাল থেকেই উৎসুক জনতার ভিড় বাড়ে সেতুর দু’তীরে। প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারযোগে আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামে পেঁৗছান সকাল ১০ টা ৫০ মিনিটে। সেখান থেকেই সরাসরি নথুল্লাবাদে বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন। এ ভবনের অদূরেই আব্দুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এসময় তার সাথে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, বস্ত্র মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকি, যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সিটি মেয়র শওকত হোসেন হিরন, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডঃ শাজাহান মিয়া, হুইপ আসম ফিরোজ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু এমপি, তোফায়েল আহমেদ এমপি এবং সাবেক চীফ হুইপ আবুল হাসানাত আব্দুলস্নাহ ও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এমপিরা উপস্থিত ছিলেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী সার্কিট হাউজে পেঁৗছে সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে উন্নয়ন সমন্বয় সভায় যোগ দেন।

ঘড়ির কাঁটায় যখন ঠিক বেলা আড়াইটা তখনই সেতু সংলগ্ন এলাকায় উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে সেতুর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করে নবনির্মিত সেতুর উপর দিয়ে ছুটে যান কীর্তনখোলা নদীর পূর্ব প্রান্তে। পথিমধ্যে সেতুর মাঝ বরাবর গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে দেখেন দেশী প্রকৌশলীদের দক্ষ হাতে নির্মাণশৈলী। এরপর নদীর পূর্বতীরের কর্ণকাঠী গ্রামে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে জনসভা মঞ্চে ছুটে আসেন। প্রধানমন্ত্রীকে এক নজর দেখার জন্য নথুলস্নাবাদ থেকে দপদপিয়া পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কের দু’পাশে ছিল উৎসুক হাজারো জনতার ভিড়।

প্রধানমন্ত্রী সেতুর ফলক উন্মোচন করতে আসছেন এমন খবরে সকাল থেকেই কীর্তনখোলা নদীর দু’তীরে হাজার হাজার মানুষের ভিড় জমে। ঝালকাঠীর নলছিটি থেকে বরিশাল নগরীর কীর্তনখোলা খেয়াঘাট পর্যন্ত রং-বেরংয়ের ছবি, পোস্টার, ব্যানার, তোরণ ও প্রধানমন্ত্রীর ঢাউস প্রতিকৃতি দিয়ে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছিল নদীর দু’তীর। এই সাজ-সজ্জার মাঝেই হাজারো জনতা উঁকি মেরে প্রধানমন্ত্রীকে দেখার প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া বেষ্টনী ঠেলে পথে-ঘাটে কেউ প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে পারেননি। শুধুমাত্র যারা জনসভাস্থলে এসেছিলেন তারাই প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি দেখার ও কথা শোনার সুযোগ পেয়েছেন। বেলা ৩টা বাজার মাত্র কয়েক মিনিট আগে প্রধানমন্ত্রী সভামঞ্চে উপস্থিত হলে হাজারো জনতা করতালি ও শেস্নাগান দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানান। জবাবে প্রধানমন্ত্রী তাদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। বেলা ৪টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতা শুরু করে টানা ২৮ মিনিটে তার সরকারের সাফল্য ও বিগত জোট সরকারের ব্যর্থতার পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনার কথা জনসন্মুখে তুলে ধরেন। সাড়ে ৪টায় সমাবেশ শেষ করে প্রধানমন্ত্রী বিকেল ৫টায় হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে বরিশাল ত্যাগ করেন।

সিটি মেয়রকে প্রধানমন্ত্রীর ধন্যবাদ
২৮ মিনিটের বক্তৃতার শেষ পর্যায়ে বরিশাল নগরীর সৌন্দর্যবর্ধন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বরিশাল নগরীর রাস্তা-ঘাটের বেশ উন্নয়ন হয়েছে। সড়ক প্রশস্তকরণসহ সৌন্দর্যবর্ধনে আমাদের সিটি মেয়র শওকত হোসেন হিরন ভালো ভূমিকা রেখেছে। তাকে ‘আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি’।

উন্নয়ন সমন্বয় সভা
সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে বেলা ১২টা থেকে সোয়া ১টা পর্যন্ত দেড় ঘন্টাব্যাপী উন্নয়ন সমন্বয় সভায় যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ বিভাগের সরকারি কর্মকর্তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা শোনেন। বৈঠক সূত্র জানায়, দক্ষিণাঞ্চলে জলদসু্যদের তৎপরতা বৃদ্ধির বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়। একই সাথে জলদসু্য দমনে অত্যাধুনিক জলযানসহ জনবল নিয়োগের দাবি করা হয়। প্রধানমন্ত্রী জলদসু্যর হাত থেকে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষকে রক্ষায় র্যাব, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীকে আরো জোরালো অভিযানের পরামর্শ দিয়ে সরকারি নৌযান সরবরাহের আশ্বাস দেন।

সেতুর উপরে জনতার ঢল
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী ভাষণ শেষে একযোগে হাজার হাজার মানুষ সমাবেশস্থল থেকে দৌড়ে দপদপিয়া সেতুর উপরে উঠে পড়েন। পড়ন্ত বিকেলে সেতুর দু’প্রান্তের দ্বার উন্মোচন করে দিলে জনতার ঢল নামে। নবনির্মিত স্বপ্নের এই সেতুর বাস্তব রূপ দেখতেই মানুষ ছুটে যান সেতুর মাঝ বরাবর। সন্ধ্যা যতই ঘনিয়ে আসে ততই সেতুর উপর ভিড় বাড়তে থাকে। পায়ে হাঁটা মানুষের পাশাপাশি যানবাহন নিয়ে অনেকে ঘুরতে আসেন সেতুর উপর।
ইজারাদার ও সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উদ্বোধন উপলক্ষে রাত ১২টা পর্যন্ত সেতুর উপর যাতায়াতকারীদের কাছ থেকে কোন টোল আদায় করা হবে না। টোলবিহীন সেতু ভ্রমণের পাশাপাশি যাত্রীবাহী যানবাহনগুলোও এ সুযোগ হাতছাড়া করেনি। রাত ৮টায় সেতুর উপর যেমন ছিল দর্শনার্থীর ভিড়, তেমনি ছিল যানবাহনের দীর্ঘ মিছিল।