থানায় অভিযোগ দিলে নির্যাতন আরো বাড়ে

পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। থানায় অভিযোগ দেয়ার অপরাধে হুমকী-ধুমকীর মাত্রা আরো বেড়ে যাওয়া চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে। প্রভাবশালী এই জামায়াত নেতার হাত থেকে সংখ্যালঘু পরিবারটি বাঁচতে চেয়েছে প্রশাসনের সহযোগীতা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শিকারমঙ্গল ইউপির চরফতেবাহাদুর গ্রামের মন্টু রঞ্জন মন্ডল হোগলার পাতার ব্যাবসা করার জন্য ২/৩বছর পূর্বে এনায়েতনগর জুনিয়র দাখিল মাদ্রাসার সুপার একই এলাকার এমদাত খাঁর কাছ থেকে ১৫হাজার টাকা নিয়েছিলেন। বিনিময়ে মিয়ারহাটে পাতার ব্যবসায় যে লাভ হতো তার কিছু অংশ প্রত্যেক হাটে দিতেন। সরল বিশ্বাসে একবার নিজ জমি থেকে ১০হাজার টাকার বিনিময়ে মাদ্রাসা সুপারের বাড়িতে মাটিও কাটতে দিয়েছিলেন। হঠাৎকরে বাড়ির পাশে অসহায় সংখ্যালঘু পরিবারটির কৃষি জমির উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে এমদাত খাঁর। পাতার ব্যবসার জন্য দেয়া টাকা জমির মূল্য বাবদ দলিল দিতে চাপ প্রয়োগ করেন। বিভিন্নভাবে হুমকী-ধুমকী দিলেও জমির দলিল না দেয়ায় রবিবার সংখ্যালঘু পরিবারের মরিচের চারা লাগানো কৃষি জমিতে মাটি কেটে দখলে নিয়েছেন। প্রতিবাদ করতে গেলে হত্যার হুমকী দেয়। এখানকার জায়গা-জমি ছেড়ে ভারতে চলে যেতে বলে। জামায়াত নেতার এমন কর্মকান্ডে এলাকার সংখ্যালঘুরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে।

উক্ত এলাকায় সরেজমিনে গেলে জামায়াত নেতা এমদাত খাঁর স্ত্রী পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করলে দেখে নিবে বলে সাংবাদিকদের হুমকী দেয় এবং ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠে। উপস্থিত স্থানীয় লোকজনকেও গালিগালাজ করে।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা রহিম কমান্ডার বলেন, ‘এমদাত খাঁ এই সংখ্যালঘু পরিবারটির উপর কী রকম নির্যাতন করে তা এলাকার সবাই জানে। জোর করে জমিতে মাটি কেটে নিজের বলে এখন দাবী করছে। হয়তো কিছু টাকা পাবে তার জন্য চর দখলের মতো কৃষি জমি দখলের ঘটনা বর্তমান সময়ের একটি আশ্চার্যের বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে’। স্থানীয়রা জানায়, এমদাত খাঁ বিভিন্ন স্থানে প্রভাব খাটিয়ে অসহায় মানুষের জমি দখল করে নিয়ে ভিটেমাটি ছাড়া করেছে।

মন্টু রঞ্জন মন্ডল সাংবাদিকদের জানান, ‘হিন্দুরা কি এদেশে থাকতে পারবে না? মাত্র ১৫হাজার টাকার কারনে আমার জমিতে জোরপূর্বক মাটি কেটেছে। থানায় অভিযোগ দিলে আরো নির্যাতন বাড়ে। থানা-পুলিশ না কি হিন্দু গো জন্য হয় নাই, হয়েছে মুসলমানদের জন্য। থানায় অভিযোগ দেয়ার কারনে আমাদের জা তা বলে গালিগালাজ করেছে এখন বাড়িতেও থাকতে পারছি না’।

জমি দখলের ব্যাপারে মাদ্রাসা সুপার এমদাত খাঁ এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘জমি বাবদ টাকা নিয়েছে বিধায় আমি উক্ত জমিতে মাটি কেটেছি’।