কালা জাহাঙ্গীরের সহযোগী কবির এখন বরিশালের মাদক সম্রাট

(আগরপুর) ইউনিয়নে মাদক সম্রাট হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। রাজধানী ঢাকার মীরপুরের ১৪ নম্বরে তিনি বসবাস করতেন। দেশে র‌্যাব গঠনের পর পরই শীর্ষ সন্ত্রাসীর অন্যতম সহযোগী কবির নিজ এলাকায় আসন গেড়ে বসে। সেই থেকে  অন্ধকার জগতে ফের পা রাখে কবির। শুরু করে ভূমি দস্যূতাসহ মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রন। এলাকার শান্তি প্রিয় মানুষ বর্তমানে তার অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। ভয়ে কেহই মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না।

জানা গেছে,  কবির হোসেন চৌকিদার (৩০)। পিতার নাম নুরু চৌকিদার। পিতা নুরু থাকেন অমেরিকায়। কবির তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নিজ এলাকায় ফেরেন। এরপর থেকে শুরু হয় তার দখল সন্ত্রাস। তিনি নিজে গড়ে তুলে মাদক সাম্রাজ্য। ফেন্সিডিল, গাঁজা, হেরোইন থেকে শুরু করে এমনকি ইয়াবার (স্থানীয় ভাষায় বাবা) ব্যবসা শুরু করে। তার বিরুদ্ধে এলাকায় অন্তহীন অভিযোগ উঠলেই অদৃশ্য কারনে প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছেন। কবিরের সহযোগীদের মধ্যে রয়েছে সেলিম বেপারী, কাইয়ুম বেপারী, বোরকা বাবুল, চশমা কবির, মনির হোসেন ও ঢাকাইয়া লিটন। স্থানীয় জালিয়া বাড়ির স্টান্ডে কবিরের অন্যতম মাদক স্পট। এর বাইরে চরাদী গ্রামের নদীর পাড়ে আড়াই একর খাস জমি দখল সন্ত্রাসে ভোগ দখলের চেষ্টা করছেন। সন্ত্রাসী কবিরের বিচারের দাবিতে এলাকার সাধারন মানুষ অতিষ্ঠ। তার দৌরাত্ম বন্ধে অতিষ্ঠরা জোড় দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে কবির বলছে তিনি কখনও কোন অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তিনি দীর্ঘ দিন ঢাকার পর বর্তমানে সাধারনভাবেই এলাকায় জীবন যাপন করে আসছেন। উল্লেখ্য, বরিশাল উত্তর জনপদের এককালের সর্বহারা অধুষ্যিত ছিলো বর্তমান জাহাঙ্গীর নগম ও সাবেক আগরপুর ইউনিয়ন। সেখান থেকেই নিয়ন্ত্রন হতো বরিশালের আন্ডার ওয়ার্ল্ড।