ইউপি নির্বাচন ১২ প্রতিষ্ঠানের হাজারের বেশি পর্যবেক্ষক

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ পরিচালক স্বপন কুমার ভৌমিক এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ইউপি নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য এ পর্যন্ত অন্তত ১২টি স্থানীয় পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছে। এ সব প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের হাজারেরও বেশি সদস্যদের পর্যবেক্ষক কার্ড দেয়া হয়েছে।  তবে পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান ও পর্যবেক্ষকের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

পর্যবেক্ষণ নীতিমালা অনুযায়ী, পর্যবেক্ষকরা স্বল্প সময় কেন্দ্রে অবস্থান ও ভোট কার্যক্রম দেখতে পারবেন। বুথভিত্তিক কোনো সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষক দেয়া যাবে না। কোনো অবস্থাতেই কোনো পর্যবেক্ষক ভোট দেয়ার স্থানে ঢুকতে পারবেন না। এ নিয়ম দেশি-বিদেশি সব ধরনের পর্যবেক্ষণ সংস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। প্রতিটি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান প্রতি দলে পাঁচ জন করে একাধিক ভ্রাম্যমাণ পর্যবেক্ষক দল নিয়োগ করতে পারবে।

আগামী ২৯ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের উপকূলীয় এলাকার ৭২ উপজেলার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হবে।

নিরব পর্যবেক্ষক
উপনির্বাচন, উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মতো এবার ইউপি নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইসির নিজস্ব পর্যবেক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন। তবে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে তাদের নিয়োগ করা হবে।

ছহুল জানান, এক্ষেত্রে কমিশনের থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাজে লাগানো হবে। ভোট গ্রহণের দিন উপজেলাভিত্তিক তাদের নিয়োগ করা হতে পারে। আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে কি না, তা তদারকিতে ইতোমধ্যে ৭২ উপজেলায় একজন করে নির্বাহী ও বিচারিক হাকিমের পাশাপাশি বরিশাল বিভাগে অতিরিক্ত ৯৬ জন নির্বাহী হাকিম নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এসব হাকিমরা তাৎক্ষণিক বিচারে ৬ মাসের জেল অথবা ১০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করতে পারবেন।

প্রচারে কড়াকড়ি
ইউপি নির্বাচনে গত ১৩ থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত ছিলো মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময়। এরপর থেকে নির্বাচনী এলাকায় প্রচার শুরু হয়েছে। এ নির্বাচনে সরকারি সুবিধাভোগীরা ভোট দিতে পারলেও কোনো নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না।

আচরণ বিধিমালায় বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, চীফ হুইপ এবং সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী বা তাদের সম মর্যাদা সম্পন্ন সরকারি সুবিধাভোগী কোনো ব্যক্তি নির্বাচন পূর্ব সময়ে নির্বাচনী প্রচারণায় বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।
তফসিল ঘোষণার পর কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো ব্যক্তি নির্বাচনী কাজে সরকারি প্রচারযন্ত্র, যানবাহন বা অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা ভোগ এবং সরকারি কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করতে পারবে না।

এবারই প্রথমবারের মতো ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীদের ব্যয় সীমাও বেঁধে দেয় ইসি। এক্ষেত্রে চেয়ারম্যান প্রার্থী সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা নির্বাচনী ব্যয় ও ব্যক্তিগত খরচ ৫০ হাজার টাকা এবং সদস্য প্রার্থী নির্বাচনী ব্যয় ১ লাখ টাকা ও ব্যক্তিগত ব্যয় ১০ হাজার টাকা করতে পারবেন।

বাজেট ১৪৭ কোটি টাকা
এবারের ইউপি নির্বাচনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় ৪৪ খাতে ১৪৭ কোটি টাকারও বেশি অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্ট উপ সচিব অর্থ ছাড়ের বিষয়ে ইসিকে চিঠি দিয়ে জানান।