জুয়ার বিরুদ্ধে কালকিনি ওসি’র যুদ্ধ ঘোষনা

আপনারা দেখেছেন এমন জুয়ারীদের গেফতার করেছিলাম যা কেউ চিন্তাও করিনি। দ্বিতীয়বারের মতো থানায় যোগদান করেই উপজেলার বিভিন্ন স্থানের জুয়ারীদের নাম লিষ্ট করতেছি। শীঘ্রই তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হবে। আপনাদের নিয়ে জুয়ার বিরুদ্ধে আজ থেকেই যুদ্ধ ঘোষনা করলাম। আমার সৎ সাহস না থাকলে এই উন্মক্ত সভা ডাকতাম না’। গত রবিবার বিকালে থানার সামনে মাছ বাজারে অপরাধ দমন বিষয়ক সভায় সভাপতিত্বের বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। তিনি আরো বলেন, ‘জুয়া ও মাদকের সাথে আমার কোনো আপোস নাই। জুয়ারীদের পক্ষে কোনো শুপারিশ গ্রাহ্য করা হবে না। আপনাদের নিয়ে কালকিনি উপজেলা জুয়া মুক্ত করবোই ইনশাল্লাহ’।

কালকিনি থানার আয়োজনে উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী মিসেস তাহমিনা সিদ্দিকী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ রিয়াজসহ পৌরসভার কাউনিন্সলরগণ। বক্তারা জুয়া বন্ধে পুলিশকে সহযোগীতার আশ্বাস দেন। সভায় সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে কাউকে বক্তব্য দিতে দেয়া হয়নি।

‘অভিবাবককে বাদ দিয়ে ওসি’র ঘর গুছানো?
বিল্লাল হোসেন, কালকিনিঃ গত রবিবার বিকালে থানার সামনে মাছ বাজারে অনুষ্ঠিত অপরাধ দমন বিষয়ক সভায় কালকিনি পৌরসভার মেয়রকে দাওয়াত না দিয়েই ব্যানারে নাম ও মাইকে প্রচার করা হয়েছে। অতপরঃ সভায় অনুপস্থিত দেখে হতভম্ব হয়ে যায় সাধারণ মানুষ। পৌর পিতাকে বাদ দিয়ে পৌরসভা গুছানো সম্ভব? কৌতুহলী মানুষের নানা প্রশ্নের উত্তর জানাতে যোগাযোগ করা হয় পৌর মেয়র এনায়েত হোসেন হাওলাদারের মুঠোফোনে যোগযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘যারা সভার আয়োজন করেছে তাদের পক্ষ থেকে আমাকে বলা হয়নি। শুধুমাত্র পৌরসভার কয়েকজন কাউন্সিলর দিয়ে আমাকে বলা হয়েছে। তাই আমি সভায় উপস্থিত হয়নি’। উক্ত সভায়  পৌর মেয়রকে বিশেষ অতিথি হিসেবে মাইকে প্রচার ও ব্যানারে নাম ব্যবহার করা হয়েছিল।

এ ব্যাপারে কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একে এম শাহীন মন্ডল জানান, ‘ এখানে তো কারও নাম এ্যান্ট্রি করা হয়নি। সবাইকে নিজের ইচ্ছায় আশা উচিত ছিল। আর মেয়রের সাথে আমার নিজের কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন ব্যস্ততার কারনে থাকতে পারবেন না’।