মেলা কমিটির আহবায়ক ও বাটাজোর অশ্বিনী কুমার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি যজ্ঞেশ্বর দে জানান, মেলা উপলক্ষে তিনদিনের অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, আবৃত্তি, সংগীত, দলীয় সংগীত ও নাটকের প্রতিযোগীতা এবং কৃষককুলের নয়নমনি সাবেক মন্ত্রী শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বৃত্তি ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান। উক্ত প্রতিযোগীতায় দেশের স্বনামধন্য সাংস্কৃতিক দল ও নাট্য গোষ্ঠি অংশগ্রহন করবেন। মেলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে এ বছর ষ্টলের সংখ্যা দ্বিগুন করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মেলা কমিটির সদস্য সচিব ও বাটাজোর অশ্বিনী কুমার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সদানন্দ চক্রবর্তী জানান, মেলার তিনদিনের অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন যথাক্রমে-কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, জাতীয় সংসদের সাবেক চীফ হুইপ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মুজিব বাহিনীর কমান্ডার আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এডভোকেট শওকত হোসেন হিরন ও বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস।
গতকাল বুধবার দুপুরে বাটাজোর অশ্বিনী কুমার মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে গিয়ে দেখা গেছে, মেলার শেষ প্রস্তুতির কাজ চলছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ষ্টলে চলছে মালামাল সাজানো কাজ। এবারের মেলায় বইয়ের ষ্টলের পাশাপাশি বিভিন্ন খেলনা সামগ্রী ও কাঠের তৈরি বিভিন্ন মালামালে মেলা ষ্টলের পাশ্ববর্তী এলাকা ছেঁয়ে গেছে। অপরদিকে স্কুল মিলনায়তনে চলছে স্কুলের শিক্ষার্থীদের সমন্ময়ে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার প্রস্তুতি। সবমিলিয়ে ঐতিহ্যবাহি এ মেলাকে ঘিরে বাটাজোরে এখন সাজসাজরব বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বরিশাল বজ্রমোহন থিয়েটারের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী ‘অশ্বিনী মেলা’র আয়োজন করা হলেও পরবর্তীতে বাটাজোর অশ্বিনী কুমার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে মেলার আয়োজন করা হতো। এরইমধ্যে বিগত বিএনপি-জামায়াতের চারদলীয় জোট সরকারের আমলে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবে ২০০৩ সালে ঐহিত্যবাহি এ মেলাটি বন্ধ হয়ে যায়।