নির্বাচনোত্তর সহিংসতা বোমাবাজি ॥ অর্ধশত আহত

নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় কমপক্ষে অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জানা গেছে, গতকাল বুধবার সকালে গৌরনদীর ভুরঘাটা গ্রামে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী কামাল ফকিরের সমর্থক বাবু ফকির ও মনির ফকিরের নেতৃত্বে ১০/১৫ জনে দু’দফা হামলা চালিয়ে আহত করে অপর পরাজিত মেম্বার প্রার্থী বাবুল বেপারী ও তার সমর্থক সেলিম বেপারী, বরাত হোসেন, ফারুক হোসেন, বিটুল বেপারী, ফরিদ হোসেন, মাসুদ বেপারী, মালেক বেপারী ও রাশিদা বেগমকে। এ ঘটনায় ওইদিন দুপুরে বাবুল বেপারী বাদি হয়ে ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা থেকে রেহাই পেতে প্রতিপক্ষ কামাল ফকির ২০ জনকে আসামি করে পাল্টা আরেকটি মামলা দায়ের করেন। একইদিন  সকালে বার্থী ইউনিয়নের সাউদেরখালপাড় গ্রামে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী বারেক মাঝির হামলায় আহত হয় একই গ্রামের শাহ আলম মিয়া। মঙ্গলবার রাতে আগৈলঝাড়ার গৈলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের উত্তর শিহিপাশা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে ভোট গণনার সময় ইউপি সদস্য শামীম ফরিয়া ও কুদ্দুস মোল্লার সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে কামাল হাওলাদার, আসাদুজ্জামান, নজরুল সিকদার, ইমান মোল্লা, আনিচ হাওলাদার, নয়ন, আলমাস, লিমন, সুমন, রুবেল, জুয়েল, ইব্রাহিম, খলিল, বাবুল, আজিজ, মজিদ, রহিম, সুমন, হালিম, জাহাঙ্গীরসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। গুরুতর আহত ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একইদিন রাতে রতœপুর ইউনিয়নে বারহাজার বরিয়ালী কেন্দ্রের ভোট গননা শেষে পার্শ্বের ব্রীজে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা একাধিক বোমার বিস্ফোরন ঘটিয়ে এলাকার সাধারণ লোকজনের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। অপরদিকে রাজিহার ১ নং ওয়ার্ডের বিজয়ী সাধারণ সদস্য লিটন হাওলাদারের সমর্থক সংখ্যালঘু ভোটারদের গালিগালাজ করে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছে পরাজিত প্রার্থী রতন হাওলাদারের সমর্থকরা। বড় বাশাইল গ্রামে পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী সুবোধ বৈদ্যকে বিজয়ী প্রার্থী ফকরুলের সমর্থকরা মারধর করে আহত করে। এসময় সতীশ বৈদ্য নামের একজন আহত হয়। গতকাল বুধবার সকালে বাকাল ১ নং ওয়ার্ডের বিজয়ী আসাদুজ্জামান খলিফার সমর্থক মোশারেফ পাইক ও লাল মিয়া পাইককে গালিগালাজ করে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছে পরাজিত প্রার্থী মকবুল পাইকের ছেলে জাকির পাইক। এ ব্যাপারে থানায় পৃথক অভিযোগ দেয়া হয়েছে।