আওয়ামী সমর্থীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সমর্থকদের তান্ডব

নির্বাচন গতকাল ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধী। মূল প্রতিদ্বন্দীতা হয় আওয়ামী সমর্থীত প্রার্থী মোঃ মজিবুল হক এবং থানা বিএনপির সেক্রেটারী ও চারদলীয় জোট সমর্থীত প্রার্থী এ্যাড. আবুল কালাম তালুকদার’র মধ্যে। গতকাল নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরে ইউনিয়নের সকল কেন্দ্রের ফলাফল আসলেও কেওতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোট গননায় জটিলতা দেখা দেয়্। ভোট গননার জটিলতার কারণে এ কেন্দ্রের বেসরকারী ফলাফল ঘোষনায় বিলম্ব ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে চেয়ারম্যান প্রার্থী মজিবুল হক’র সমর্থকরা দলে বলে অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাত সোয়া আটটার দিকে ভোট কেন্দ্রের দিকে আসে। তারা ভোট কেন্দ্রের আসে-পাসে তিনটি গ্রামে এসময় ব্যপক তান্ডব চালায়। উত্তেজিত জনতা দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে স্থানীয় আলহাজ্ব আবদুস সত্তার এর বাড়ীতে আতর্কিত হামলা চালায়। এসময় এ বাড়ীর বাগান থেকে প্রায় অর্ধশত মেহগনী গাছ, শতাধিক কলা গাছসহ অন্যান্য গাছ নির্বিচারে কর্তন করে এবং বাড়ীর বেষ্টনীতে আগুন ধরিয়ে এলাকায় ব্যাপক তান্ডব ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। সন্ত্রাসীদের তান্ডব এবং তাদের বেপরোয়া লাঠি পেটায় গ্রামের নারী-পুরুষ দিক বিদিক ছুটাছুটি ও আর্ত চিৎকার করে প্রান বাঁচাতে নিরাপদে চলে যায়। সন্ত্রাসীরা এ সময় প্রায় দুই ঘন্টা তান্ডব চালায়।

ঘটনার পরে রাত্র সাড়ে দশটার দিকে র‌্যব-পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং কেন্দ্রটির ফলাফল ঘোষনা করে। উল্লেখ্য এ নির্বাচনে প্রায় পাঁচশতাধিক ভোট বেশী পেয়ে চারদলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বিজয়ী হয়। তালুকদার আবুল কালাম আজাদ’র এবারের বিজয় নিয়ে এ ইউনিয়নে ইতিপূর্বে পাঁচবার চোয়ারম্যন নির্বাচিত হয়। এদিকে এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় আরো অপ্রিতিকর ঘটনার সম্ভবনা রয়েছে। পরাজিত প্রার্থী মোঃ মজিবুল হক এবং তার সমর্থকরা বরাবরের মত সন্ত্রসী এবং পেশী শক্তির ব্যবহার করে আসছে। নির্বাচনী প্রচারাভিযান চলার সময় মজিবুল হকের সমর্থকরা কালাম সমর্থকদের মারধর করলে সে ঘটনা তখন পত্রিকার শিরোনাম হয়। তখন প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশন তাকে সতর্ক করলেও তিনি পেশী শক্তিধর ও মাসেলম্যান হওয়ায় প্রশাসন তার কাছে অসাহায়ত্ব প্রকাশ করছে বলে সকলে মনে করে। 

মোঃ মজিবুল হক ২ নং শুক্তাগড় ইউনিয়নের সাংগর গ্রামের অধিবাসি এখানে জনশ্র“তি আছে সাংগর হল রাজাপুর থানার একটি বিতর্কিত ও ভয়ংকার গ্রামের নাম। এবারের নির্বাচনে বিগত দিনের অনেকবার নির্বাচিত মেম্বর মজিবুল হক আওয়ামী লীগ থেকে সমর্থন নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হয়।  নির্বাচনে বিজয়ী হতে মজিবুল হক সকল ধরণের পন্থা অবলম্বন করেছে। টাকার বিনিময় ভোট কেনা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, প্রতিপক্ষের সমর্থকদের হুমকী-ধমকী, হামলা-মামলার ভয় প্রদর্শনসহ সকল উপায় উপকরণ ব্যবহার করেও শেষ রক্ষা না হওয়ায় তার সমর্থকরা এলাকায় আরো ব্যপক তান্ডব ও আইন শৃংখলার অবনতি ঘটাতে পারে বলে স্থানীয় সাধারণ মানুষ আশংকা করছে।

এদিকে হামলার স্বীকার সাধারণ মানুষ তাদের অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য প্রশাসনের সহযোগীতা ও হস্তক্ষেপ কামনা করছে। অপরদিকে সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার বাকলার সাবেক কর্মকর্তা এবং মৌসুমী লিমিটেড’র সাবেক হিসাব রক্ষক আলহাজ্ব আবদুস সত্তার সাংবাদিকদের জানান, গতকাল রাতে তারা আতর্কিত হামলা করে আমার বাড়ীতে বাগানের ব্যপক ক্ষতি সাধন করে এবং বাড়ীর বেষ্টনীতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনার সময় বাড়ীর লোকজন ভোট কেন্দ্র এলাকায় থাকায় কোন রক্তপাত হয়নি। তিনি এঘটনার জন্য দায়ি ব্যক্তিদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করেন।