ক্রেতা-বিক্রেতারা অসাধু ব্যবসায়ী ও দালালদের হাতে জিম্মি

উপজেলার প্রত্যন্ত শরিকল বন্দরের ক্রেতা বিক্রেতারা। ধান, চাল, পাট, ডাল ও তরিতরকারীসহ বিভিন্ন পন্য সামগ্রী ক্রয় বিক্রয় করতে এসে এরা নানা ভাবে হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন। ব্যবসায়ী ও দালাল চক্রের লোকজন প্রভাবশালী হওয়ার কারনে তাদের বিরুদ্ধে টা-টু শব্দ করার সাহশ পায়না কেউ। বন্দরের ইজারাদার ও আগরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাইনুদ্দিন মিয়া অভিযোগ করেন, এ বন্দরের কয়েকজন ভুষা মাল ব্যবসায়ী অন্য কাউকে ভুষা মাল কিনতে দেয় না। তারা ইচ্ছা মত ভুষা মাল বিক্রেতাদের দাম দেয়। দুরের লোকজনের সাথে যা তা ব্যবহার করে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, গত ১ এপ্রিল রাজৈর এলাকার ৭/৮ জন ব্যবসায়ী ভুষা মাল কিনতে এলে স্থাণীয় ভুষা মাল ব্যবসায়ী হারুনার রশিদ, মোবারক ফকির তাদের সাথে দুর্ব্যাবহার করে, আমরা বিরোধ থামাতে গেলে তারা আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। তাদের সাথে আমাদের ধস্তা ধস্তি হয়েছে। এর জের ধরে তারা ঘন্টা খানেকের জন্য ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখে। এদের সাথে এ বিষয় নিয়ে বহুবার বৈঠক হয়েছে কিন্তু তাতেও কোন ফল হচ্ছে না। তারা খাজনার টাকা নিয়েও নানান টাল বাহানা করে থাকে। শরিকল বন্দরের ডাল বিক্রি করতে আসা কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করেন, আমরা কোন কিছু বিক্রি করতে এলে পন্যের সঠিক মূল্য পাই না। তারা জোর করে ইচ্ছামত পন্যের দাম দেয়। দুরের ব্যবসায়ীরা এলে আমরা বেশী দামে পন্য বিক্রি করতে পারি।

বন্দরের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, শুধুমাত্র ধান, পাট, চাল, ডালই নয় কাঁচা তরিতরকারী হাঁস মুরগী থেকে শুরু করে সকল পন্যই কেনা বেচার ক্ষেত্রে মূল্য নির্ধারন হয় এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী ও দালালদের দ্বারা। এদের কারনে বন্দরে লোকজন আসা কমতে শুরু করেছে।