বিল্লগ্রামে কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজ নির্মানে অবহেলা

বিল্লগ্রামে কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজ নির্মানে অবহেলারাস্তা ভায়া বিল্লগ্রাম বাজার রাস্তায় ১ কোটিরও বেশী  টাকা ব্যয়ে আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মান করা হলেও ব্রিজের গোড়ার দু’পাশে মাটি ভরাটের কাজ না করায় অদ্যবর্ধি ব্রিজটির সুফল ভোগ করতে পারেনি এলাকাবাসি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ও গাফলতির কারনে পথচারী ও বাজারে আগত ক্রেতা- বিক্রেতাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

স্থানীয় লোকজন, বাজারের ব্যাবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ সড়কে বিল্লগ্রাম হাট সংলগ্ন পালরদী নদীর শাখা পালরদী (আশোকাঠী) ধামুরা খালে ব্রিজ না থাকায় সাধারন মানুষকে দীর্ঘদিন ধরে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। অবশেষে ইডিডিআরএসপির  অর্থায়নে ২০০৭ সালে এ খালে ব্রিজ নির্মানের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহন  করেন। গৌরনদী উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউপি অফিস হইতে চাঁদশীহাট রাস্তা ভায়া বিল্ল¬গ্রাম বাজার রাস্তায় আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মানের জন্য বরিশাল এলজিইডি একটি প্রকল্প গ্রহন করে। সড়কের ১২৮৮ চেইনেজে ৪০.৮৬ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজের প্রাককলিত ব্যয় ধরা হয় ১ কোটি ২ লক্ষ ৭৬ হাজার ২শত ১৬টাকা ২০পয়সা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট বরিশল আমানাতগঞ্জের মেসার্স আমিন এন্টারপ্রাইজকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী ২০০৯ সালের ১৫ আগস্ট কাজটি শেষ করার কথাছিল।

বিল্লগ্রাম বাজারের ব্যবসায়ী ও মাহিলাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কালিয়া দমন গুহ, গৈলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ জামাল গোমস্তা, স্থানীয় মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, মোঃ সিরাজ মৃধাসহ অনেকেই অভিযোগ করেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের নির্মান প্রতিষ্ঠানের গাফলতি রয়েছে। তারা আরো জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ব্রিজটি নির্মান করে দু’পাশের গোড়ার এ্যাপ্রোজ সড়ক নির্মান কাজ করেননি। ফলে প্রতিদিন ব্যবসায়ী, বাজারে আগত ক্রেতা-বিক্রেতা, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ হাজার-হাজার মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অভিযোগের ব্যাপারে নির্মান প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রকল্প তদারকি কাজে নিয়োজিত সাইট ইনচার্জ মোঃ সফিকুর রহমানের কাছে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগের সত্যতা নেই।  গৌরনদী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আনোয়ার হোসেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যোগদানের পূর্বে কি হয়েছে তা সম্পর্কে আমি অবহিত নই।  বিষয়টি আমি জানিনা। আমি যোগদানের পূর্বে হয়ে থাকতে পারে। জনসাধারনের দূর্ভেগের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ঠিকাদারকে দিয়ে এ্যাপ্রোজ সড়কের কাজ সমাপ্ত করার চেস্টা চলছে।