কুকুর নিধন খাতে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জলাতঙ্ক ও উৎপাৎ থেকে নগরবাসীকে মুক্ত রাখার জন্য বিসিসি গত ৩ বছরে প্রায় ২ সহশ্রাধিক কুকুর নিধন করেছে। বিষয়টি সন্তোষজনক মনে হলেও বিসিসি’র কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছে ভিন্নমত, তাদের অনেকের মতে বাস্তবে এত কুকুর নিধন করা হয়নি। তাহলে পাড়া বা মহল্লায় বেওয়ারিশ কুকুরের এত দৌরাত্ব থাকত না। আসলে কাগজ কলমে সংখ্যা দেখিয়ে অতিরিক্ত টাকা তুলে নেয়া হয় হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকা থেকে গত ৩ বছরে ১ হাজার ৮’শ ৯৬ টি কুকুর নিধন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০০৯ সালে ৮’শ ৬৩ টি, ২০১০ সালে ৭’শ ৭৬ টি ও চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত ২’শ ৫৫ টি। যা সন্তোষজনক মনে হলেও এ ব্যাপারে অনেকেই দ্বিমত পোষন করেছেন। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মকর্তারা মৃত কুকুরের সংখ্যা গুনে খাতায় হিসাব লিপিবদ্ধ করেন। বিসিসি’র নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, নিধনকারীদের সাথে গননাকারীরা গোপন আতাতের ভিত্তিতে সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়ে অতিরিক্ত বিল তুলে নেয়। যে কারনে পূর্বে কুকুরের লেজ জমা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও বর্তমানে এই নিয়ম প্রচলিত নেই।

জানা যায়, বরিশাল নগরীতে কুকুর নিধনের জন্য বিসিসি’র প্রশিক্ষন প্রাপ্ত ৪ জন শ্রমিক রয়েছে। যারা বিকেল ৫ টা থেকে রাত অবধি কুকুর নিধনের কাজে নিয়োজিত থাকে। এবং কুকুর প্রতি বিসিসি ৫০ টাকা পারিশ্রমিক প্রদান করে। কুকুর নিধনকারী বাদশা মিয়া জানান, আমরা প্রতিদিন যে কুকুর মারি তা স্বাস্থ্য বিভাগের চেয়ারম্যানের নিকট জমা দেই। তিনি সেগুলো গুনে খাতায় লিখে দেয়। কাজেই না মেরে বিল করার কোন সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে বিসিসি’র সহকারী পরিচ্ছন্নতা অফিসার ইউসুফ আলী বলেন, প্রতিটি কুকুর বছরে ছয়টি কিংবা আটটা বাচ্চা দেয়। ফলে কুকুরের সংখ্যা দ্রুত বেড়েযায়। এছাড়া শহরের বাইরে থেকেও কুকুর এসে জড়ো হয়। কিন্তু এ সমস্যা থেকে নগরবাসীকে মুক্ত রাখার জন্য বিসিসি’র নিয়োগপ্রাপ্ত ৪ জন শ্রমিক অনবরত কুকুর নিধনে কাজ করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান গাজী নঈমুল হোসেন লিটু বলেন, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কুকুর নিধনের নামে কোন অনিয়ম হওয়ার সুযোগ নেই। কারন প্রতিটি কুকুরের মৃত দেহ শনাক্ত করে খাতায় নিবন্ধন করা হয়। এবং সে অনুযায়ী বিল পরিশোধ করা হয়।