যে কোন মুহুর্তে ভবন ধ্বসে দূর্ঘটনার আশংকা

প্রতিষ্ঠানের দ্বন্দের কারনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক ভবন সংস্কার কাজ দীর্ঘ দিন বন্ধ রয়েছে।

জীবনের ঝুকি নিয়ে পরিবার পরিজন সহ কর্মচারীরা ওই জরাজীর্ন ভবনে বসবাস করে আসছেন। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি সংস্কারের জন্য ইতোমধ্যে উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে কয়েকদফা আবেদন করেও কোন সুফল পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের বসবাসের জন্য ১৯৮৬ সালে এই আবাসিক ভবনটি নির্মান করা হয়। দ্বিতল ভবনটিতে চারটি পরিবার বসবাস করে আসছে। ভবনটি বসবাসের অযোগ্য হওয়ায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কয়েকবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত  আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১০ সালে সিএমএমইউ থেকে ওই ভবন সহ হাপাতালের আভ্যন্তরীন রাস্তা ও বাউন্ডারী ওয়াল সংস্কারের জন্য ১৫ লাখ ১৯ হাজার ৯শ ৪৫ টাকা বরাদ্দে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। টেন্ডারে নূরী এন্টার প্রাইজ নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পায়। একই বছর নভেম্বর মাসে কাজটি শেষ করার কথা ছিল। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান  গত বছর ৬ জুন কাজ করতে গেলে আগৈলঝাড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জসিম সরদার ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক নাসির উদ্দিন লিটুর মধ্যে কাজ নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। মতবিরোধের কারনে তখন মারধরের ঘটনাও ঘটেছিল। এ কারনে তখন নাসির উদ্দিন লিটুর পক্ষে জাকির সেরনিয়াবাত থানায় একটি মামলাও দায়ের করেছিলেন। মামলার কারনে হাসপাতালের সংস্কার কাজ ওই সময় বন্ধ হয়ে যায়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চলতি বছর ৫ এপ্রিল ভবনের কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য বরিশাল সিভিল সার্জনকে  চিঠি প্রেরণ করেন। চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের আবাসিক ভবনটি বর্তমানে এতই ঝুকিপূর্ন যে তা মানুষ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সরেজমিনে  ওই ভবনের বসবাসরত হাসপাতাল মসজিদের ঈমাম রেজাউল জানান, তার পরিবার নিয়ে তিনি মৃত্যুর ঝুকি নিয়ে দীর্ঘ ৬ বছর ধরে বসবাস করছেন। যে কোন সময় এ ভবন ভেঙ্গে পরে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি আশংকা করছেন। একই  কথা বলেছেন ওই ভবনে বসবাসরত হাসপাতালে বাবুর্চি আমেনা বেগম। তিনি জানান, গতকাল তার কক্ষের ছাদের অংশ ধ্বসে পড়ে একটি খাট ভেঙ্গে গেছে। মৃত্যুর আশংকা মাথায় নিয়ে তিনি ওই ভবনে বসবাস করছেন। ভবনের ২টি কক্ষে দুটি পরিবার বসবাস করলেও অন্য দুটি কক্ষে দুর্ঘটনার আশংকায় কেউ থাকছেননা। এই ভবনটি ধ্বসে পড়ে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এব্যাপারে সিএমএমইউ সহকারী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান জানান, ভবনটির কাজ শুরু না হওয়ায় প্রতি মাসে নির্বাহী প্রকৌশলী দুলাল চন্দ্র সরকারের কাছে রিপোর্ট দিয়ে আসছেন। কেন কাজ শুরু হয়নি তা তিনি বলতে না পারলেও রি-টেন্ডার হতে পারে বলে তিনি জানান। নির্বাহী প্রকৌশলী দুলাল চন্দ্র সরকারের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।