গোয়েন্দা পুলিশের ভূলে নব দম্পতি গ্রেফতার

খাটতে হবে নয়া দম্পতির। আটকের ৯ দিন পরে তাদের আদালতে পাঠান হবেন বলে জানিয়েছেন কোতয়ালি থানার ওসি জাহাঙ্গীর। স্বামী স্ত্রী হয়েও আবাসিক হোটেলে থাকায় পতিতা ও খদ্দরের অপবাদে ইতিমধ্যে ২দিন জেল হাজতে মানবেতর সময় পার করেছেন তারা। ভালবাসার টানে পরিবারের অমতে খৃষ্টান ধর্ম থেকে হিন্দু ধর্ম গ্রহন করায় সদ্য পরিবারচ্যুত হয়েছেন স্ত্রী রীতা রানি (২০) ও স্বামী অমিত মিত্র (২৫)। জীবনের শুরুতেই পরিবার থেকে অবাঞ্চিত হওয়ার পর মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পরেছেন এই দম্পতি। ঘটনার সত্যতা জানার পরও ডিবি পুলিশ তাদের ভুলের সংশোধন করে নি। তবে এ ঘটনায় কোতয়ালি থানার একাধিক পুলিশ কর্তারাও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

সূত্রমতে, গত ২১ তারিখ নব এই দম্পতি বরিশালের হোটেল প্যারাডাইস-১ ওঠে। ২৩ তারিখ বিকেলে গোয়েন্দ পুলিশ বরিশাল নগরীর আবাসিক হোটেলগুলোতে অভিযান চালিয়ে ২দালাল ৩পতিতা ও ২খদ্দেরের সাথে তাদেরকেও আটক করে। রীতা ও অমিত সূত্র জানাযায়, গত বছরের ২০ আগষ্ট ঢাকার এগ্রি কালচার ভার্সিটি এলাকার বটতলা কালী মন্দিরে মা কালীকে সাক্ষি রেখ বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন আমিত মিত্র ও গীতা রানি। সমাজ তাদের এই বিয়ে ভাল দৃষ্টিতে দেখবেনা বিধায় তেমন কাউকে জানান দেয়নি স্বামী অমিত মিত্র। ঢাকার শেরে বাংলা নগর আগার গাও পাকা মার্কেটের সরকারি স্টাফ কোয়াটার জি/৯১ নম্বরের বাড়ির কানাই মিত্র’র  বড় ছেলে অমিত মিত্র। আগারগাও পাকা মার্কেটের হৃদয় বিজনেস সেন্টারের তার ফোন ফ্যাক্সের দোকন। স্ত্রী রীতা রানি উত্তর বঙ্গের জয়পুর হাট ঠাকুর গায়ের ম্যনুয়েলের কন্যা। র্ধমান্তরিত  হয়ে বিয়ের কারনে পরিবারের সদস্যরা রীতাকে তেজ্য করে দিয়েছেন।

স্ত্রী রীতা রানির পিতা ম্যনুয়ালকে এ ঘটনা ০১৭২০১৯০৭৮৩ নম্বরের মোবাইল ফোনে জানানো হলে তিনি বলেন রীতা নামে আমার একটি মেয়ে ছিল। তবে এখন আমি তাকে আর চিনতে চাইনা। সে খৃষ্টান র্ধম ত্যাগ করে অন্য এক ধর্মের ছেলেকে বিয়ে করেছে। এমন মেয়ে আমার সন্তান হতে পারে না।

উল্লেখ্য, বরিশালের বাজার রোড এলাকার দপ্তর খানায় অমিতের পিশা বিরেন হালদার ও পিশি মায়া রানি হালদার বসবাস করেন। বিয়ের পর থেকে লজ্জায় তারা পিশা পিশির বাসায় যান না। তদুপরি অমিত ঘটনার দিন তার পিশা পিশির মোবাইল ফোনে কল দেয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাদের ২জনের মোবাইল নম্বরই সেদিন ছিল বন্ধ।

অমানবিক এ ঘটনা ঘটে যাওয়ার দিন (২৩ তারিখ) রাত সারে ১০টার দিকে ডিবির সহকারী পুলিশ কমিশনার এবি এম মাসুদকে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে অবহিত করা হলে তিনি বলেন বিষয়টি সত্যিই দুঃখজনক। তবে আমি তাদের বিয়ের সত্যতা প্রমানের জন্য যেকোন ১জনের সাক্ষি চেয়েছিলাম। হোক তা মোবাইলে কিংবা সরাসরি। কিন্তু তারা তা দিতে ব্যার্থ হয়েছে। তাছাড়া এখন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয়ে গিয়েছে। এখন আমি নিরুপায়। সেল ফোন-০১৭১৭৮৬০০৮৭