কারাগার থেকে বরিশাল হাসপাতালে লিমন

জেলা কারাগার থেকে আদালতের নির্দেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে সে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। মঙ্গলবার দিনগত রাত ১টায় লিমনকে বরিশালের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয় বলে জানান, ঝালকাঠি কারাগারের জেলার আমানুল্লাহ।

তিনি জানান, লিমনের একটি পা কাটা এবং শারিরিকভাবে সে অসুস্থ। আদালতের নির্দেশে চিকিৎসার জন্য বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের মাধ্যমে তাকে শেবাচিম হাসপাতালের প্রিজন সেলে ভর্তি করা হয়েছে। জেলার আমানুল্লাহ আরও জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে লিমনকে ঝালকাঠি কারাগারে আনা হয়। এরপর আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী রাত ১টায় তাকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়। বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সগির মিয়া বলেন, রাত সোয়া ২টায় লিমনকে গ্রহণ করে কারা কর্তৃপক্ষ।

এরপর চিকিৎসার জন্য রাত পৌনে তিনটায় তাকে শেবাচিম হাসপাতালের প্রিজন সেলে ভর্তি করা হয়। লিমন বর্তমানে জেলা পুলিশের নিরাপত্তা প্রহরায় সেখানে চিকিৎসাধীন আছে। শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. আব্দুর রশিদ জানান, লিমনকে প্রিজন সেলে ভর্তি করার খবর পেয়েছি। চিকিৎসকের পরামর্শে সকালে তাকে প্রিজন সেল থেকে অর্থোপেডিক্স ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। অর্থোপেডিক্স সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. বাবুল কুমার সাহা জানান, লিমন বর্তমানে অর্থোপেডিক্স সার্জারি বিভাগের ২নং ইউনিটে চিকিসাধীন রয়েছেন। তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতাল থেকে যে ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হয়েছে সেই অনুযায়ীই চিকিৎসা চলছে। লিমনের শারিরিক অবস্থা ভালো বলে জানান চিকিৎসক বাবুল কুমার সাহা । এদিকে লিমনের আইনজীবী মানিক লাল আচার্য্য বলেন, সকাল ৯টায় ঝালকাঠি কারা কর্তৃপক্ষ তার চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার বিষয় আদালতকে অবহিত করেছে।

উল্লেখ্য, র‌্যাবের দায়ের করা অস্ত্র আইনের মামলায় পুলিশ লিমনকে মঙ্গলবার রাত ৮টা ১০ মিনিটে ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে হাজির করলে আদালতের বিচারক নুসরাত জাহান তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে লিমনের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার চিকিৎসার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত। লিমন র‌্যাবের দেয়া দুটি মামলার আসামি। এরমধ্যে অস্ত্র আইনের মামলায় তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। এ মামলার জামিনের শুনানি আগামী ৯ মে ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে, সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে দায়ের করা র‌্যাবের অপর মামলায় লিমন ইতিমধ্যে জামিন পেয়েছে।