৮দিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে বাস চলাচল

সঙ্গে পটুয়াখালী, কুয়াকাটা ও বরগুনার সরাসারি বাস চলাচল গত ৮ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার দুই মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বৈঠক করলেও কোন সমঝোতা হয়নি।

এ অবস্থায় বরিশাল-পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির বাস লেবুখালী ফেরীর উত্তরপ্রান্তে এবং পটুয়াখালী জেলা বাস মালিক সমিতির বাস ফেরীর দক্ষিন প্রান্তে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছে। যাত্রীরা ঝুকি নিয়ে ট্রলারে পায়রা নদী পাড় হয়ে গন্তব্য স্থলে যেতে হচ্ছে। গত ১৩ মে থেকে এ অবস্থা চলার কারনে যাত্রীদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, বরিশাল থেকে পটুয়াখালী, কুয়াকাটা, বাউফল ও বরগুনা রুটে সমঝোতার ভিত্তিতে বরিশাল-পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির ২৫টি এবং পটুয়াখালী জেলা বাস মালিক সমিতির ১১টি বাস চলাচল করতো। কিন্তু পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতি ওই রুটগুলোতে দুই মালিক সমিতির সমান সংখ্যক গাড়ি চলাচলের দাবী তুললে বিরোধের সৃষ্টি হয়।

রিশাল-পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির সভাপতি আজিজুর রহমান শাহীন জানান, তাদের সমিতির গাড়ির শ্রমিকদের পটুয়াখালী জেলা সিমানায় মারধর করা হলে বিরোধ তুঙ্গে উঠে এবং গত ১৩ মে থেকে লেবুখালী ফেরীর এপার-ওপার নিজ জেলার মধ্যে দুই মালিক সমিতির বাস চলাচল করছে।

এ অবস্থা নিরসনের জন্য বৃহস্পতিবার পটুয়াখালী  জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে দুপক্ষের মধ্যে সভায় উভয় মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ নিজ নিজ অবস্থানে অনঢ় থাকায় কোন সমঝোতা হয়নি। পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির সভাপতি রিয়াজুল মৃধা সাংবাদিকদের জানান, বরিশাল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দরা সমঝোতা চাননা। অন্যদিকে বরিশাল পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি আজিজুর রহমান শাহীন জানান, বিভাগীয় কমিশনার এ সমস্যার সমাধান দিতে পারবে।