তথা কথিত হাজীর নেতৃত্বে ঘরবাড়ী ভাংচুর সহ গরু কুপিয়ে জখম

এসে চাচাত ভাইয়ের ঘরবাড়ী ভাংচুর সহ গোয়ালের গরু কুপিয়ে আহত করেছে তথাকথিত হাজী সাহেব নামধারী নুরুলহক ও তার সহযোগীরা। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার আগৈলঝাড়া উপজেলার ছোট ডুমুরিয়া গ্রামে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, মামলার যায়গা দখল নেয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলার ছোট ডুমুরিয়া গ্রামের হাসমত আলী বেপারীর ছেলে মুজাম বেপারীর রান্নাঘর ও গোয়ালঘর ভেঙ্গে ফেলেছে তারই চাচাতো ভাই এলাকায় তথাকথিত হাজী সাহেব নামের নুরুল হক বেপারীর নেতৃত্বে তার সহযোগী ফজলুল হক, ঠান্ডু, চুন্নু, নজু বেপারী ও সিদ্দিক তালুকদার। হামলাকারীরা মুজামের গোয়ালের একটি গরু কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে ভাংচুরকৃত ঘরের মালামাল পার্শ্ববর্তী পুকুর ও খালে ফেলে দেয়। একাধিক প্রত্যক্ষদর্র্শী জানান,পূর্ব শত্র“তার জের ধরে ঘরবাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে । তারা আরও জানান, হাজী নামধারী নুরুল হক গত ২০ বছর পূর্বে একই বাড়ির লাল মিয়া বেপারীর  বিধবা স্ত্রী কুলছুম বেগমের সাথে অবৈধ সম্পর্ক করে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছিল। এঘটনায় ওই সময় এলাকায় সালিশ বৈঠক বসে। সালিশ বৈঠকে ওই নবজাতকের ভরণপোষণ সহ বিয়ে দেয়ার সমস্ত খরচ নুরুল হককে বহনের জন্য গ্রাম্য মাতব্বররা রায় দেন। রায়ের পর নুরুল হক বেপারী স্ব-পরিবারে রাতের আঁধারে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ঢাকায় আশ্রয় নেয়। হজ্ব না করেও তিনি হাজ্বী নাম ধারণ করে সেই পালানোর পর গত মঙ্গলবার রাতে নুরুল হকু স্ব-স্ত্রীক এলাকায় এসে বুধবার সকালে স্থানীয় চুন্নু বেপারীর মদদে মুজাম বেপারীর রান্নাঘর ও গোয়ালঘর ভেঙ্গে পার্শ্ববর্তী পুকুর ও খালে ফেলে দেয়। এসময় তারা মুজামের বসত ঘরেও হামলা চালিয়ে আংশিক ক্ষতি করে। হামলার সময় মুজামের পরিবারের সদস্যরা বাড়ি না থাকায় গোয়ালে বাধাঁ একটি গরুকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। সকালে ভাংচুরের ঘটনার পর একই দিন দুপুরে ভাংচুরকৃত ঘরের জায়গায় নুরুল হক জোর পূর্বক ঘর তুলছে বলে মুজাম থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।