স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংক ঋণের আবেদন করায় গণধোলাই

জমিজমার কাগজপত্র উত্তোলন করে জামিনদার বানিয়ে একটি ব্যাংকের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার ঋণ উত্তোলনের আবেদন করেছিলেন এক প্রভাবশালী বিএনপি নেতা। এ ঘটনা ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ভুক্তভোগীরা বিএনপি নেতা গোলাম মস্তফা কাজীকে আটক করে গণধোলাই দিয়েছে। এ নিয়ে ওই এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের পূর্ব ডুমুরিয়া (উমেদ আলী) গ্রামে।

ভুক্তভোগী ও ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি ও পূর্ব ডুমুরিয়া গ্রামের মৃত গইজদ্দিন কাজীর পুত্র গোলাম মস্তফা কাজী অতিসম্প্রতি জনতা ব্যাংক লিমিটেডের বরিশাল কর্পোরেট শাখায় ৪৪ লক্ষ টাকা ঋণের জন্য আবেদন করেন। ব্যাংকের চাহিদা মোতাবেক জমির কাগজপত্র জমা দেয়া হয়। গত ৪দিন পূর্বে মস্তফা কাজী নিজ হাতে ব্যাংকের বরিশাল কর্পোরেট শাখা থেকে ওই কাগজপত্র গৌরনদীর ভূরঘাটা শাখায় জমা দেন। জনতা ব্যাংকের ভূরঘাটা শাখার ম্যানেজার মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, গোলাম মস্তফা কাজীর জমাকৃত কাগজপত্রের যাচাই বাছাইয়ের জন্য গত দু’দিন পূর্বে সরেজমিনে তদন্তে গিয়ে কাগজপত্রে গড়মিল পাওয়া যায়।

ভুক্তভোগী কাজী সোবহান জানান, ব্যাংক কর্মকর্তারা সরেজমিনে তদন্তে আসার পর তারা জানতে পারেন ১৫০ টাকার ষ্ট্যাম্পে কাজী রাজ্জাক, কাজী শাহ আলম, কাজী মজিবর রহমান, কাজী সোবহান, কাজী ইব্রাহীম, কাজী ফজলুল হক, কাজী আকবর হোসেন ও কাজী হাবিবুর রহমানের স্বাক্ষর জাল করে তাদের জমিজমার কাগজপত্র উত্তোলন পূর্বক কাজী মস্তফা তাদের জামিনদার বানিয়েছে। তিনি আরো জানান, ব্যাংক কর্মকর্তারা তদন্তে এসে প্রকৃত ঘটনার উদঘাটনের পর থেকেই মস্তফা আত্মগোপন করে।

বৃহস্পতিবার সকাল দশটার দিকে ভুক্তভোগীরা বিএনপি নেতা গোলাম মস্তফাকে তার বাড়ির পাশ্ববর্তী স্থান থেকে আটক করে গণধোলাই দেয়। প্রতারক গোলাম মস্তফা কাজীকে ঋণ না দেয়াসহ প্রতারনার ঘটনায় ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রতারক কাজী মস্তফার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও ভুক্তভোগীরা জনতা ব্যাংকের ভূরঘাটা শাখা ব্যবস্থাপকের কাছে আবেদন করেছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।