শাবিতে এক ব্যতিক্রম আয়োজন জোছনা যাপন

কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতেই নিমিষেই জ্বলে উঠলো অনেকগুলো মোমবাতি আর পুব দিক থেকে জেগে উঠলো গোলাকার চাঁদ। চাঁদের স্নিগ্ধ আলোয় আলোকিত হয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গন। সন্ধ্যার পরে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে সচারচর এরকম কখনোই দেখা যায়নি। ব্যতিক্রম হওয়ায় সবার কাছেই ভালো লাগে। সন্ধ্যার সাথে সাথে তাই শহীদ মিনার প্রাঙ্গন হয়ে যায় লোকারণ্য। এরকম এক সন্ধ্যায় উদযাপন করা ‘জোছনা যাপন’।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র ভিত্তিক সংগঠন ‘চোখ ফিল্ম সোসাইটি’র উদ্যোগে ১৭ মে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। টিলার উপর অবস্থিত শহীদ মিনার চূড়ায় জোছনা যাপন এ ছিল কবিতা পাঠ, সঙ্গীতানুষ্ঠান, সরোদ ও বাঁশিবাদন। অনুষ্ঠানে দর্শকরা কখনও গানের সঙ্গে তাল মিলিয়েছেন, কখনো শিল্পীর সুরের মূর্ছনার সাথে হারিয়ে গিয়েছিল। সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. সালেহ উদ্দিন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, এরকম আয়োজন সবার কাছেই ভালো লাগবে। এক সুন্দর সন্ধ্যায় আমরা একত্রে বসতে পেরেছি। সবকিছুই হবে আনন্দময়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল কবিতা পাঠের আসর। স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কবি মোহাম্মদ সাদিক, শুভেন্দু ইমাম এবং সমকালীন অন্য কবিরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাভৈ: আবৃত্তি সংসদের মুগ্ধকর আবৃত্তিও আনন্দের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় শহীদ মিনারে বিশ্ববরণ্যে সরোদশিল্পী ওস্তাদ শাহাদাত হোসেন খান এবং বরণ্যে ধ্রুপদী সঙ্গীতশিল্পী সুমনা বর্ধনকে ফুল ছড়িয়ে স্বাগত জানানো হয়। সুমনা বর্ধনের ভালো লাগা আর ভালবাসার গান শুনে মুগ্ধ হন শ্রোতারা। এরপর আসেন ওস্তাদ শাহাদাত হোসেন খান। তার বাজনায় দর্শক শ্রোতারা বিমোহিত হন। অনুষ্ঠান সম্পর্কে চোখ ফিল্ম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক বিবেক অধিকারী বলেন, রাতে খোলা আকাশের নিচে এমন অনুষ্ঠান সবারই ভালো লেগেছে। সব দিক থেকেই আমাদের আয়োজন সফল হয়েছে। আর দর্শক শ্রোতারাও ফিরলেন পূর্ণ তৃপ্তি নিয়ে। জোছনা আলোয় নিজেকে হারিয়ে রেখেছিলেন গান আর বাজনার সুরের মাঝে। জোছনা যাপনের সঞ্চালনায় ছিলেন বাংলাদেশ বেতারের শিল্পী ফারজানা শম্পা ও চোখ ফিল্ম সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি টি এম আহমেদ কায়সার।