ঝালকাঠিতে সংস্কৃতি মেলার নামে জেলা প্রশাসনের কর্মকান্ড প্রশ্নবিদ্ধ

নিয়ে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তিনদিন ব্যাপী কর্মসূচীর মঙ্গলবার শেষ দিন বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ নিয়ে জনমনে ক্ষোভ এবং বিরুপ মন্তব্য শোনা গেছে।

দেশজ সংস্কৃতি বিকাশে সংস্কৃতি মেলার ব্যানারে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত কর্মসূচী একের পর এক ফ্লপ খাচ্ছে। গতকালের নৌকা বাইচ অনুষ্ঠানে সুগন্ধা নদীর তীরে হাজারো উৎসুক জনতার উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেলেও বাইচে মাত্র একটি নৌকা। ফলে উপস্থিত লোকজনের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ ও নানা মন্তব্য ছিল দূর দূরান্ত থেকে নদীর পাড়ে আসা সকল শিশু, নারী ও পুরুষের মুখে মুখে।

বহু বছর পর ঝালকাঠিতে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠানের কথা শুনে অসংখ্য লোক কাজ ফেলে পরিজন নিয়ে দুপুর গড়ানোর পরপরই উপস্থিত হয় শহর সংলগ্ন সুগন্ধা নদীর দু’তীরে। তখন দেখা মেলে বাইচের নৌকা একটি। মুহুর্তের মধ্যে জনতার অতি উৎসাহের আনন্দ হারিয়ে ফেলে। শোনা যায় বহু মুখে নানা মন্তব্য।

অন্যদিকে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটি মঙ্গলবার রাতে রয়ানী গানের মধ্য দিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। গত রোববার বিকেলে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা। এছাড়াও  সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, জারী গান ছিল দর্শকদের মনের খোরাক। হাডুডু খেলা, পুঁথিপাঠ ও কবিগান অনুষ্ঠানে ছিল দর্শকদের ভাটা। দেখাগেছে মেলা উপলক্ষে নির্মানকৃত বিশটি ষ্টলের ৪/৫টি বাদে বাকীগুলো ছিল খালি।

অনুষ্ঠানে আগত দর্শনার্থীদের মধ্যে অনেকেরই প্রশ্ন ছিল জেলা প্রশাসক তাদের সাথে প্রতারনা করেছেন। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক অশোক কুমার বিশ্বাস বলেছেন, কাঠালিয়ার শৌলজালিয়া থেকে ৪টি নৌকা আসার কথা থাকলেও একটি নৌকা অংশ গ্রহন করে। তিনি জানান, একটি মুল কমিটি দিয়েই তিনদিনের কর্মসূচী সম্পন্ন করা হচ্ছে এবং কমিটির সভাপতি তিনিই। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্জ এ্যাড. খান সাইফুল্লাহ পনির বলেন, বহু বছর ধরে ঝালকাঠিতে এই সংস্কৃতি অনুপস্থিত। তাই জেলা প্রশাসন সংস্কৃতি চর্চ্চা ধরে রাখতে প্রথমে উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হলে সমস্যা নেই। আগামীতে আমরা এ সকল সংস্কৃতি উন্নয়নের চেষ্টা করবো।