বাঁধ দিতে আইয়া ভাইঙা থুইয়া গেছে

ঠিকাদারদের কতো ঝগড়া হইছে তারপরও ফিরাইতে পারি নাই। সরকারী স্যারদের (সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা) কাছে বারবার বলছিলাম মাটি বাঁধের নিচ থেকে উঠাইলে ভাইঙা পড়বো, হেইয়াই তো হইছে, বাঁধ দিতে আইয়া ওরা আরো ভাইঙা থুইয়া গেছে, এহন পানির ভয়ে রাইতে ঘুম আহেনা- কথাগুলো আক্ষেপের সুরেই বললেন মাদারীপুররের কালকিনিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ধসে যাওয়া পুনঃনির্মিত বেড়ী বাধের উপর দাড়িয়ে আজমত আলী হাওলাদার। তাঁর মতো হালিম হাওলাদার ও শাজাহান সরদারসহ একাধিক স্থানীয় লোকজন জানান, ‘সরকারী টাকা পানিতে ফেলাইয়া দিয়েছে। এহন এই বাধ আবারো নির্মাণ করা না হইলে বর্ষায় আড়িয়াল খাঁ নদীর পানিতে তলিয়ে যাবে ২০থেকে ২৫টি গ্রাম।’

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়নের উত্তর ক্রোকিরচর স্লুইচ গেট থেকে উত্তর ক্রোকিরচর ঘরামী বাড়ি স্লুইচ গেট পর্যন্ত ২কিলোমিটার বেড়িবাধ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে আইডিএ ক্রেডিট ও নেদারল্যান্ডস ট্রাষ্ট ফান্ডের অর্থায়নে দক্ষিন কালকিনি এফসিডিআই প্রকল্প নামে পুনঃ নির্মান করা হয়। ২০১০-১১ইং অর্থ বছরে বাস্তবায়ন করে মেসার্স শহীদ ব্রাদার্স নামের এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। নির্মাণ কাজ শেষ হতেই উক্ত বেড়ি বাঁধ নদীতে ধসে পড়েছে। আসছে বর্ষায় আড়িয়াল খাঁর পানি বৃদ্ধিতে ধসে যাওয়া এই বেড়িবাঁধ ভেঙে ২০থেকে ২৫টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আশপাশের সাধারণ মানুষ।