অবশেষে ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে

বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন বরিশালের আগৈলঝাড়ার বেসরকারি একটি স্বেচ্ছাসেবী এনজিওর নেতৃবৃন্দরা। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সীমান্তবর্তী মুন্সীরতালুক গ্রামে।

জানা গেছে, পারিবারিক ভাবে ওই গ্রামের স্বর্গীয় অমল সরকারের কন্যা ও পানবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী শিখা সরকারের (১১) সাথে পার্শ্ববর্তী পটিবাড়ি গ্রামের প্রফুল্ল কৃর্ত্তনীয়ার পুত্র বৌটং কৃর্ত্তনীয়ার সাথে আগামিকাল শুক্রবার (১০ জুন) বিয়ের দিন ধার্য্য করা হয়। গ্রামবাসীর মাধ্যমে এ সংবাদ পেয়ে আগৈলঝাড়ার বে-সরকারী স্বেচ্ছাসেবী এনজিও সিএইচসিপির প্রকল্প ব্যবস্থাপক জেসম রিপন বাড়ৈ নেতৃত্বে অন্যান্য কর্মকর্তারা গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে বাল্য বিয়েতে বাঁধা দেন। পরবর্তীতে ওইদিন দুপুরে টাকাবাড়ি সিএইচসিপির ক্লিনিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য, সমাজ উন্নয়ন কর্মী ও উভয় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাল্যবিয়ের কু-ফল নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে শিখা সরকার ও বৌটং কৃর্ত্তনীয়ার পরিবারের সর্বসম্মতিক্রমে বাল্য বিয়ে বন্ধের ঘোষনা করা হয়।

স্কুল ছাত্রী শিখা সরকারের মা শেফালী রানী সরকার বলেন, আমাদের একই গ্রামের অনিল বাড়ৈর বখাটে পুত্র অসিম বাড়ৈ স্কুলে আসা যাওয়া পথে শিখাকে নানা ধরনের উত্যক্ত করে আসছিলো। ফলে সম্প্রতি শিখাকে কারফা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে থেকে পানবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। বখাটে অসিম বাড়ৈর অব্যাহত উত্যক্তর কারনেই পরিবারের সকলের সিদ্ধান্তক্রমে অপ্রাপ্ত বয়সে আমার মেয়ে শিখাকে বাল্য বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু সিএইচসিপির উদ্যোগে আজকের বাল্য বিয়ের কু-ফল নিয়ে অনুষ্ঠিত সভার মাধ্যমে আমি বুঝতে পারি আসলে বাল্য বিয়ে দিলে কি হয়। সে মতে এখন আমি আমার মেয়ে শিখার বাল্য বিয়ে বন্ধের ঘোষনা দিয়েছি। সিএইচসিপির প্রকল্প ব্যবস্থাপক জেসম রিপন বাড়ৈ বলেন, শিখা সরকারের স্কুলের খরচসহ আসা যাওয়ায় নিরাপত্তার দায়িত্ব আমরা নিয়েছি।