জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

কতিথ মাদ্রাসার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও ওই জামায়াত নেতা এলাকার নিরিহ লোকজনদের এস.এ রেকর্ডিয় ও ক্রয় সূত্রের মালিকানার সম্পত্তি ডিগ্রীর মাধ্যমে দখল করার জন্য একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। ওই জামায়াত নেতার প্রভাবশালী দু’ভাই সরকারের উচ্চপদস্থ স্থানে কর্মরত থাকায় তাদের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় একের পর এক অপকর্ম করে পার পেয়ে যাচ্ছেন জামায়াত নেতা হাবিবুর রহমার ওরফে হাবিব হাওলাদার। ভূক্তভোগীরা প্রভাবশালী জামায়াত নেতার রোষানল থেকে রেহাই পেতে প্রসাশনের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ওই গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন পান্নার দেয়া লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, তার পিতা আব্দুল মজিদ হাওলাদার ১৯৮০ সন থেকে এস.এ রেকর্ডিয় ও ক্রয় সূত্রে ওই এলাকার ২ একর ৬৪ শতক সম্পত্তির মালিক হন। সেই থেকে অদ্যবর্ধি ওই সম্পত্তি তারা ভোগ দখল করেও আসছেন। একইভাবে ৭ একর সম্পত্তির মালিক হন ওই গ্রামের স্কুল শিক্ষক মিজানুর রহমান। ২০০২ সনে ডিগ্রীর মাধ্যমে উভয়ের ওই সম্পত্তির মালিকানা দাবি করেন জামায়াত নেতা হাবিব হাওলাদার। সেই থেকে তিনি (হাবিব) ওই সম্পত্তি দখল করার জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্র করে আসছেন। এরইমধ্যে সু-চতুর জামায়াত নেতা হাবিব তার প্রভাবশালী ভাইদের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ৮টি মামলা দায়ের করে হয়রানি শুরু করেন। একপর্যায়ে কৌশলে হাবিব হাওলাদার আংশিক সম্পত্তি দখল করে তাতে নির্মান করেন নামসর্বস্ত্র “হামিও সুন্নাহ কওমিয়া মাদ্রাসা”। অভিযোগে আরো জানা গেছে, ওই মাদ্রাসার নামে সরকারি ও বেসরকারি ভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা অনুদান এনে হাবিব আত্মসাত করেছেন। এছাড়াও তার বসত বাড়িতে রাতের আধাঁরে অপরিচিত লোকজন যাতায়াত করছে বলেও পান্না অভিযোগ করেন।

সর্বশেষ গত ৮ জুন সকালে হাবিব তার ভাড়াটিয়া লোকজনদের নিয়ে বিরোধপূর্ণ সম্পত্তির ওপরের প্রায় লক্ষাধিক টাকার গাছ কর্তন শুরু করে। এসময় তাদের বাঁধা দেয়ায় হাবিব ও তার ভাড়াটিয়া লোকজনে হামলা চালিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষ মজিদ হাওলাদার তার পুত্র জাহাঙ্গীর হোসেন পান্না, হান্নান হাওলাদার ও ফারুক হোসেনকে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে জামায়াত নেতা হাবিব পুলিশের সাথেও অসৌজন্যমূলক আচারন করেন। একপর্যায়ে থানা পুলিশ কর্তনকৃত গাছ জব্দ করেন। এ ব্যাপারে আহত জাহাঙ্গীর হোসেন পান্না বাদি হয়ে গৌরনদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের খবর শুনে প্রভাবশালী জামায়াত নেতা হাবিব হাওলাদার ও তার ভাড়াটিয়া লোকজনে মামলা উত্তোলনের জন্য বাদি ও তার পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ হুমকি প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছে।