নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ৪ইউপি সদস্যসহ অর্ধশতাধিক আহত

দুই পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ঘন্টাব্যাপি সংঘর্ষে ৪জন নবনির্বাচিত ইউপি সদস্যসহ অর্ধশতাধিক আহত ও ১৫টি দোকান ভাংচুর করা হয়েছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দোকানঘর ভাংচুরের প্রতিবাদে ব্যাবসায়ীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েনরত রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে। এই ইউনিয়নে গত রবিবার ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের শশিকর বাজারে ওই দিন সকাল সাড়ে ৯টায় দুই পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীদ্বয় বিভূতি ভূষন বাড়ৈ ও মিন্টু সরকারের সমর্থকরা ভোট দেয়া না দেয়া নিয়ে বাক-বিতান্ডার এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পড়ে। ঘন্টাব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় নবনির্বাচিত ৪নং ওয়ার্ডের স্বপন সরকার (৪২), ২নং ওয়ার্ডের দুলাল (৪০), ৫নং ওয়ার্ডের মৃনাল (৫০) ইউপি পরিষদ সদস্য এবং ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের ইউপির সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সাবিত্রি ভৌমিকসহ (৪৫) উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হয়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে বিক্ষুদ্ধরা মুদি ও মিষ্টর দোকানসহ ১৫টি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে। তবে এতে কোন মালামাল লুটপাট হয়নি। সংঘর্ষের শেষ পর্যায়ে ঘটনাস্থলে অফিসার ইনচার্জ এ কে এম শাহিন মন্ডলের নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স উপস্থিত হয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী বিভূতি ভূষন বাড়ৈর পক্ষ নিয়ে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী মিন্টু সরকারের সমর্থকদের ধাওয়া দিয়ে এলাকা ছাড়া করে দেয় ও মৃদু লাটিচার্জ করে। পুলিশের এমন কর্মকান্ডে এলাকায় থমথমে ভাব বিড়াজ করছে।

শশীকর বাজার কমিটির সভাপতি অরুন কান্দি হালদার বলেন, সংঘর্ষের সুরাহা না হওয়া প্রর্যন্ত কোন দোকানপাট খোলা হবে না। যে দিন এর বিচার হবে সেদিনই দোকান খোলা হবে।

কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম শাহিন মন্ডল জানান, চেয়ারম্যান প্রার্থী বিভূতি ভূষন বাড়ৈর পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে তা মামলা হিসাবে এজাহারভূক্ত করার প্রক্রিয়ার্ধীণ। এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি। পক্ষ পাতিত্বের অভিযোগ সত্য নয়।