জুন ক্লোজিং এর নামে এলজিইডি বিভাগের উৎকোচ আদায়

দপ্তরে উন্নয়ন কাজ শেষ না করেই বিল উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে। এ সুযোগের সৎব্যবহার করছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সরকারী কর্মকর্তারা। গতবারের চেয়ে এবার পারসেন্টিস এর পরিমান বাড়িয়ে দ্বিগুন করেছেন কর্মকর্তারা।

সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উন্নয়ন কাজের কমিটির সিপিসি ও ঠিকাদারদের অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পিইডিপি-২ এর আওতায় সদর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ লাখ, নগরবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১ লাখ ৫০হাজার, সাহেবের হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১ লাখ ৫০ হাজার, বারপাইকা মুসলিম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১ লাখ ৫০ হাজার, বাকালহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১ লাখ ৫০ হাজার, অশোকসেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১ লাখ ৩০ হাজার, পূর্ব সূজনকাঠী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ লাখ, বারপাইকা হাই সংলগ্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ লাখ, পয়সা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ২  লাখ, চক্রীবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১  লাখ ৫০ হাজার, খাজুরিয়া  সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ লাখ, বাগধা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১ লাখ ৫০ হাজার, কোদালধোয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকাসহ ১৩  টি বিদ্যালয়ের মেরামত ও সংস্কার বাবদ মোট ২১ লাখ ৬০ হাজার বরাদ্দ রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান মেরামতের ৭০ থেকে ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের কমিটি সূত্রে জানাগেছে। জুন ক্লোজিং এর হিসেবে ওই সকল প্রতিষ্ঠানের কমিটির সদস্যরা তাদের কাজের বরাদ্দকৃত বিল উত্তোলন করতে গেলে এলজিইডি বিভাগের সাথে তাদের মতবিরোধ ঘটে। এলজিইডি বিভাগ থেকে বিল ছাড়ের জন্য কমিটির কাছে অফিস খরচ বাবদ ৫ টি দপ্তরের জন্য ১৫% টাকা উৎকোচ দাবী করেছে বলে সিপিসিরা অভিযোগ করেন। এ নিয়ে এলজিইডি বিভাগের সাথে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা বহু দেনদরবার করলেও এলজিইডি বিভাগ তাদের সিদ্ধান্তে বহাল থাকে। গতবছর জুন ক্লোজিং বাবদ নেয়া হয়েছিল ৭%। অন্যদিকে এডিপি’র আওয়াতাধীন প্রকল্প সমুহ বাস্তবায়নের হার ৪০ এর বেশী নয়। তবে ঠিকাদারদের সাথে যোগসাযোশে এলজিইডি বিভাগ অধিকাংশ প্রকল্পের সমুদয় বিল মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ছাড় দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়াগেছে। এছাড়া এলজিইডি বিভাগের নিজস্ব দপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজতো রয়েছেই। এব্যাপারে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, গত ২৯ জুন ১৩ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজের বিলে তিনি স্বাক্ষর করেছেন। ১৫% উৎকোচ দাবীর বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।