আর্কাইভ

ক্লিনিক নির্মানে রডের পরিবর্তে বাঁশের চেড়া!!!

ক্লিনিক নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভবনের গেটে রডের পরিবর্তে দেয়া হয়েছে বাঁশের চেড়া। এতে স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও ঠিকাদার প্রভাবশালী হওয়া কেহ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা।

সরেজমিন ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দরিদ্র জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য উপজেলার সীমান্তবর্তী বাগধা ইউনিয়নের  জয়রামপট্টি গ্রামে স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ ৯ লাখ ৪৮ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মান করছে। এজন্য জমিদান করেছেন স্থানীয় ফেলু দাড়িয়া। যার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মো. আবুল হোসেনের সায়হাম এন্টারপ্রাইজ এর নামে কাজটি করছেন ক্ষমতাসীন দলের এক এমপি’র ভায়রা স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি আকবর হোসেন। কাজের শুরু থেকেই অত্যান্ত নিুমানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে ভবনের কাজ শুরু করেন আকবর হোসেন। স্থানীয়দের শত বাধা নিষেধ উপেক্ষা করে তিনি নিুমান ও কম গ্রেডের রড দেয়া সহ সিডিউল বহির্ভূত কাজ করেন বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। তাদের অভিযোগের সত্যতাও দেখা গেল ভবনের মুল গেটের পিলার ঢালাইয়ে। গেটের পিলারে বেইজ ঢালাই নাকরে নতুন মাটিতে প্রায় এক ফুট গভীর থেকে ঢালাই উঠানো হয়েছে। গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষনে ওই গেট বিদ্ধস্ত হয়। বেড়িয়ে আসে অভিযোগের সত্যতার আসল ঘটনাটি। চমকপ্রদ ঘটনাটি হল, বিদ্ধস্ত গেটের পিলারে রডের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশের চেড়া। স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, ক্লিনিকের ছাঁদ ঢালাই দেয়া হয়েছে ৪ দিন বসে। ঢালাইয়ের মানও ভাল নয়। ফলে ভবনের স্থায়ীত্ব নিয়ে চরম আশংকা রয়েছে। ক্লিনিকে একটি গভীর নলকুপ সরকারী বরাদ্দ থাকলেও আকবর হোসেন সেখানে একটি স্যালো নলকুপ বসাতে চাইলে স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখে তা বসাতে পারেনি। সংশি¬ষ্ট বিভাগের প্রকৌশলী দুলাল চন্দ্র সরকার জানান, গত জুলাই থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে ছয় মাসের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভবনটি এখনও হস্তান্তর করা যায়নি। বরাদ্দকৃত ৯ লাখ ৪৮ হাজার টাকার মধ্যে ঠিকাদারকে ৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা বিল পরিশোধ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। দুলাল সরকার আরও জানান, আগৈলঝাড়ার বাটরা,পূর্ব গোয়াইল,জয়রামপট্টি ও সেরালে কমিউনিটি ক্লিনিক ভবন নির্মান করা সহ বরিশাল জেলায় ৩৬ টি এবং বিভাগে ১শ৪২ টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মান করা হচ্ছে। স্থানীয় জনগনের অভিযোগ সম্পর্কে  প্রকৌশলী দুলাল চন্দ্র সরকারকে জানালে তিনি জানান, বিষয়টি সরেজমিনে তিনি দেখবেন ও পিলারে বাঁশের অস্তিত্ব পাওয়া গেলে সকল ঢালাই ভেঙ্গে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। এব্যাপারে আকবর হোসেন জানান, কাজ ঠিকাদার নিজেই করছেন,তবে স্থানীয়ভাবে তিনি বাস্তবায়ন করছেন ভবনের কাজ শেষ হয়েছে। কাজ নিয়মানুযায়ী করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

Back to top button