হোসেন টিপুর বিরুদ্ধে বিস্তার অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের নেছারাবাদ এলাকার মানুষ তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ। উপজেলার সেহাঙ্গল গ্রামের মৃত্যু লোকমান হোসেনের পুত্র আনোয়ার হোসেন ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে আলোচিত ওই ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, সাখাওয়াত হোসেন টিপু নেছারাবাদ মাদ্রাসার লিল্লাহ বোর্ডিং এর ছাত্র ছিল। তারা ৮ ভাই। এর মধ্যে সাখাওয়াত হচ্ছেন ৫ নম্বর। বড় ভাই জেল হত্যা মামলার আসামি বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম মঞ্জুর বাসায় কাজ করতেন। সে সুবাদে ১৯৯৩ সনে পিরোজপুরের জেলা কোঠায় এস.আই পদে চাকুরি পান সাখাওয়াত। দশ মাস পূর্বে বিমান বন্দর থানার ওসি হিসেবে যোগদানের পর প্রায়ই তিনি সরকারি গাড়ি নিয়ে গ্রামের বাড়ি নেছারাবাদে যান। ঘন্টা দুয়েক অবস্থান করে ফের বরিশালে ফিরে আসেন। গ্রামে গিয়ে তিনি আধিপত্য বিস্তার করছেন। বিগত ইউপি নির্বাচনে তার এক ভাই মেম্বর পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। নির্বাচনে তিনি প্রভাব বিস্তার করে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের সমর্থকদের নানাভাবে পুলিশী হয়নারী করেছেন।
এদিকে অভিযোগ রয়েছে, সাখাওয়াত হোসেন টিপু পুলিশ বিভাগে চাকুরী জীবনের শুরু থেকে নানাবিধ অন্যায় অপকর্ম ও ঘুষ বানিজ্যের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ১৩ বছর ডিএমপিতে চাকুরী করে বাড্ডা নতুন বাজার এলাকায় ৬ তলা বিলাস বহুল বাড়ি নির্মান করেছেন। রাজধানী ঢাকায় চাকুরী জীবনে বিভিন্ন অভিযোগে সাখাওয়াত ৬ বার সাসপেন্ড হন। বিগত তত্বাবধায় সরকারের আমলে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগে তিনি দেড় বছর সাসপেন্ড অবস্থায় থাকেন। একাধিক সূত্র জানায়, ওসি সাখাওয়াত বরিশাল নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টাকা মাসোয়ারা পান। এছাড়া ১৬টি ইটের ভাটা থেকে ৫ হাজার টাকা করে মাসে ৮০ হাজার টাকা, গাজা ও মাদকের স্পট থেকে দৈনিক ৩ হাজার টাকা মাসোয়ার নেন সাখায়াত। এর বাইরে মামলা রেকর্ডে ৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ওসি সাখাওয়াত হোসেন টিপু জানান, পুলিশ বিভাগের কয়েক ব্যক্তি আমার পিছু লেগেছে। তারাই আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। তিনি আরো বলেন সেহাঙ্গল গ্রামের অভিযোগকারী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে আমার কোন পরিচয় নেই। আর আমি গ্রামের বাড়িতে আধিপত্য বিস্তারও করছি না।