স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় উত্যপ্ত হয়ে উঠছে এলাকা

বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টায় যৌণ হয়রানী করা হয়েছে। এ ঘটনার গোটা এলাকা উত্যক্ত হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এনজিও-মানবাধিকার সংগঠন ও এলাকাবাসিদের স্ব-স্ব উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অব্যাহত রয়েছে।

প্রতিবাদ সভায় প্রধান শিক্ষক ইউনুস খানকে অপসারন ও বখাটে জামাতা সলেমান হাওলাদারের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করে আসছেন। স্কুল ছাত্রীর নানা নেহাল উদ্দিন অভিযোগ করেন, মামলা উত্তোলনের জন্য প্রধান শিক্ষক ও তার লোকজনে প্রতিনিয়ত তাদের হুমকি দিয়ে আসছে।

স্কুল ছাত্রীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই স্কুলের পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রীকে (১১) গত ১৩ জুলাই স্কুলের টিফিনের সময় বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় স্কুলের পাশ্ববর্তী বাড়ির নুর মোহাম্মদ হাওলাদারের বখাটে পুত্র ছলেমান হাওলাদার (৩০)। নির্জন বাড়িতে নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধষর্ণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ভাবে যৌণ হয়রানি করা হয়। এ সময় স্কুল ছাত্রীর আত্মচিৎকারে পাশ্ববর্তী বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে বখাটে পালিয়ে যায়। বিষয়টি স্কুল ছাত্রী প্রধান শিক্ষক ইউনুস খানকে জানালে সে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য শ্বাসিয়ে দেয়। স্কুল ছাত্রী বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়।

ওইদিন সন্ধ্যায় স্কুল ছাত্রী অসুস্থ্য হয়ে পরলে তাকে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বখাটে ও তার ভাড়াটিয়া লোকজনের হুমকির মুখে ওইদিন রাতে স্কুল ছাত্রীকে গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পরলে উত্তেজিত এলাকাবাসি ওইদিন রাতেই বখাটেকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোর্পদ করে। এ ঘটনায় গত ১৪ জুলাই গৌরনদী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত শুক্রবার এলাকাবাসি ও গতকাল শনিবার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উন্নয়ন প্রচেষ্ঠার উদ্যোগে নলচিড়া বাজারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নলচিড়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোসলেম উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন সমাজসেবক ঝমঝম হাওলাদার, মোসলেম উদ্দিন খান, রব খান, শাহজাহান খান, এইচ.এম শাহজাহান প্রমুখ।   

উন্নয়ন প্রচেষ্ঠার নির্বাহী পরিচালক এইচ.এম শাহজাহান কবীর জানান, বখাটেকে রক্ষাকারী প্রধান শিক্ষক ইউনুস খানের অপসারন ও বখাটে সলেমান হাওলাদারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের কর্মসূচী অব্যাহত রাখছেন।