ঝালকাঠির জেলা বিএনপি’র কর্মকান্ড নিয়ে ধুম্রজাল

সময়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। ব্যারিষ্টার শাজাহান ওমর গঠিত কমিটির অনুমোদন না দিলেও ঝালকাঠি বিএনপির একাধিক নেতা তাদের নামের পূর্বে হরহামেশাই সভাপতি,সহ-সভাপতি পদ ব্যাবহার করছেন। এদিকে ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির একাধিক নেতৃবৃন্দ ওই কমিটিকে অবৈধ গঠনতন্ত বহিভূত বলে আখ্যা দিয়েছেন।

জানা যায়, স্ব ঘোষিত জেলা বিএনপির সভাপতি ব্যারিষ্টার শাজাহান ওমর তার রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে ও কমিটির অনুমোদন আনতে লবিং তদবিরে ব্যাবহার করছেন সহ-সভাপতি মিঞা আহমেদ কিবরিয়াকে। বিএনপির আর্দশের সৈনিক না হলেও নিজের অর্থের জোরে শাজাহান ওমর কিবরিয়াকে জেলা বিএনপির সহ সভাপতির পদ পাইয়ে দেন। এই মিঞা আহমেদ কিবরিয়া পেশায় একজন ব্যাবসায়ী। তিনি কখনোই দলীয় কোন কর্মসূচীতে অংশ গ্রহন ক ছেন না। তিনি এলাকায় সুযোগ সন্ধানী ব্যাক্তি হিসাবে পরিচিত। বিশেষ করে রাজনীতিতে তার কোন জ্ঞান না থাকলেও অর্থের জোরে নিজেই এখন ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী দাবী করছেন।

সূত্র জানায়, গত বছরের জানুয়ারী মাসে শাজাহান ওমর পরিকল্পিত নাটকীয়ভাবে হঠাৎ করে জেলা বিএনপির সন্মেলনের ডাক দেন। যে সন্মেলন সম্পর্কে তৎকালীন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির কোন নেতৃবৃন্দই ওয়াকিবহল ছিলেন না। কৌশুলী শাজাহান ওমর তার নিজ সমর্থিত গুটি কয়েক নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে রাতারাতি জেলা বিএনপির খসড়া কমিটি করেন। যা কেন্দ্রেও পাঠানো হয়। কিন্তু ওই কমিটির অনুমোদন আটকে দেয় কেন্দ্র। নেপথ্যের কারন হিসাবে বেড়িয়ে আসে ওয়ান ইলেভেনের সময় শাজাহান ওমর সংস্কারপন্থী গ্র“পে আশ্রয় নিয়েছিল। সেই ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় দলের চেয়ারপারসরন বেগম খালেদা জিয়া নিজেই কমিটি অনুমোদনে অপরগতা প্রকাশ করেন। কেন্দ্রের অনুমোদন না থাকলেও বিতর্কিত কমিটির সভাপতি ও সহ সভাপতি নিজেদের এলাকায় জাহির করতে তাদের নামের পূর্বে পদ পদবি লাগিয়ে থাকেন।

এ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির আহবায়ক ডাঃ টিআহমেদ জানান, মিঞা আহমেদ কিবরিয়া ঝালকাঠি জেলা বিএনপির কেউ নন। তিনি বিএনপি সমর্থক মাত্র। মিঞা কিবরিয়া জানান যেহেতু কেন্দ্র থেকে যে কোন সাংগঠনিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে ব্যারিষ্টার শাজাহান ওমর গঠিত খসড়া কমিটি বরাবর বার্তা পাঠাচ্ছে সেহেতু পদ পদবী ব্যাবহার করা অন্যায় নয়।