আর্কাইভ

বড় বউসহ সন্তানদের তাড়িয়ে দিতে স্বামীর কান্ড!

বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে রাতের খাবারের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেনতন করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে থানায় চুরির অভিযোগ দিয়েছে এক স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে মাদারীপুরের কালকিনিতে। অসুস্থ্যরা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার এনায়েত নগর ইউনিয়নের ফাসিয়াতলা গ্রামের নইমুদ্দিন সরদারের ছেলে জসিম সরদার ২০বছর আগে পাশ্ববর্তী পশ্চিম আলীপুর গ্রামের রাজ্জাক সরদারের কন্যা ফেরদৌসীতে বিয়ে করেন। বর্তমানে তাদের ২ পুত্র ও  ২কন্যা সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি জসিম সরদার তার শ্যালক স্বপন সরদারের স্ত্রী ফারজানা আক্তারের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। গত বছর স্বামীকে তালাক দেয়াইয়ে জসিম ফারজানাকে বিয়ে করে। এ নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগেই ছিলো। তারই ধারাবাহিকতায় জসিম তার বড় বউকে প্রায়ই শারিরীক নির্যাতন করতো। এক পর্যায়ে গত ২৪ জানুয়ারি বড় বউ ফেরদৌসী বেগম মাদারীপুর জেলা আদালতে নারী নির্যাতন আইনে মামলা করলে স্থানীয়ভাবে শালিস মিমাংসায় ছোট বউকে তালাক দেয়ার শর্তে মামলা তুলে নেয়া হয়। ছোট বউকে তালাক না দিলেও অন্যত্র সরিয়ে রাখে জসিম।

ছোট বউ ফারজানা আক্তারকে গত সপ্তাহে জসিম বাড়িতে নিয়ে এলে ফের ঝগড়া বিবাদের সৃষ্টি হয়। শনিবার রাতে জসিম সরদার ভাতের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাওয়ালে বড় বউ ফেরদৌসী বেগম (৩৬), মেয়ে সোনিয়া আক্তার (১৮), এ্যানী (১১), ছেলে শাওন হোসেন (১৫) অচেতন হয়ে পড়ে। পরদিন সকালে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে তাদের চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। এদিকে জসিম ছোট বউকে খুশি করতে রবিবার বিকেলে প্রথম বউ ও সন্তানদের বিরুদ্ধে কালকিনি থানায় চুরির অভিযোগ দায়ের করেন। বাড়ি থেকে ৪লক্ষ টাকাসহ স্বর্ণাংকার চুরি করেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফেরদৌসী বেগম বলেন, জসিম নেশা জাতীয় দ্রব্য খাওয়াইয়ে আমাকে ও আমার সন্তানদের মেরে ফেলতে চেয়েছিল। হাসপাতালে পাঠিয়ে এখন আবার চুরির অপবাদ দিচ্ছে। বড় মেয়ে সোনিয়া আক্তার বলেন, অসুস্থ্য থাকায় কথা বলতে পারছি না। আমার বাবা তার ছোট বউয়ের ফাঁদে পড়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। আমাদের বাড়িতে উঠতে না দেয়ার জন্যই চুরির অপবাদ দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও জসিম সরদারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

কালকিনি থানার এস.আই আশফাক বলেন, এ রকম একটি অভিযোগ থানায় এসেছে। কাউকে এখনো তদন্তের জন্য দেয়া হয় নাই। তবে বিষয়টি হাস্যকর বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন

Back to top button