গৌরনদী পৌরসভার বিভিন্ন সড়কের বেহাল দশা

হওয়ায় বরিশালের গৌরনদী পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার জনগুরুতপূর্ণ সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে যান ও জন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পরেছে।    

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের সদর উত্তরের ঐতিহ্যবাহী ব্যবসা কেন্দ্র গৌরনদী পৌরসভার টরকী বন্দরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো খানাখন্দে পরিনত হয়েছে। টরকী বন্দরের প্রবেশদ্বার টরকী বাসষ্ট্যান্ড থেকে টরকী বন্দর পোস্ট অফিস পর্যন্ত আধা কিলোমিটার সড়ক, নীলখোলা থেকে টরকী বন্দর আদর্শ জামে মসজিদ পর্যন্ত আধা কিলোমিটার সড়ক, টরকীরচর বড় ব্রিজ থেকে টরকী বন্দর ছাগল হাট পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার সড়ক তিনটির বিভিন্ন স্থানে বিটুবিন, পাথর ও খোয়া উঠে গেছে। সড়কের কোন কোন স্থানে ছোট বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ওইসব সড়কে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই ছোট-বড় দূর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া বন্দরের রায়পট্টি, গুড়পট্টি, মাঝিপট্টি, কাপড় ও মাছের টল ঘরের পাশের সড়কের বিভিন্নস্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই এসব গর্তে পানি জমে ভুক্তভোগী ও বন্দরে আগত ক্রেতা-বিক্রেতাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এসব সড়কে রিকশা-ভ্যান চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অপর দিকে গৌরনদী বন্দরে চালপট্টি, ঘোষপট্টি ও নদীরপাড়ের সড়কের বিভিন্ন স্থানের সড়কের বেহাল দশা। টরকী বন্দরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শেখর দত্ত বণিক ক্ষোভের সাথে জানান, এ বন্দর থেকে প্রতিবছর পৌরসভা লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আয় করলেও দীর্ঘদিনেও বন্দরের কোন রাস্তাঘাট মেরামত বা সংস্কার করেনি।

অপরদিকে পৌরসভার প্রানকেন্দ্র টিকাসার থেকে গেরাকুলের রাস্তা, টিকাসার হেলালের দোকান থেকে পৌর মেয়রের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা, আশোকাঠী ফিলিং ষ্টেশন থেকে গেরাকুল ভায়া হ্যালিপাডের মানিক মিয়া সড়ক, বাদামতলা থেকে গোবর্দ্ধন রাস্তা, আশোকাঠি বাসষ্ট্যান্ড থেকে মোল¬াবাড়ি পর্যন্ত রাস্তা, নোমোবাড়ি থেকে উত্তর পালরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তার বিভিন্নস্থানে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় বর্তমানে যান ও জন চলাচলে চরম ভোগান্তি বেড়ে গেছে। এসব রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত অধিক ঝুঁকি নিয়ে রিকশা-ভ্যান যাতায়াত করছে। সবগুলো রাস্তা বেহাল অবস্থায় থাকায় চলাচলে পৌরবাসীর চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। ব্যবসায়ী ও পৌর নাগরিকদের ক্ষোভের কথা স্বীকার করে গৌরনদী পৌরসভার মেয়র মোঃ হারিছুর রহমান হারিছ জানান, পৌরসভার উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলেই খানাখন্দ সড়ক ও রাস্তার সংস্কার করা হবে।