জামিনে আইন্না লই, তগো দেখাইয়া দিমু!

বাদীকে মামলা তুলে নিতে চাঁপ প্রয়োগ ও দেখিয়ে দেয়ার হুমকীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানাগেছে, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের সেরাল গ্রামে চলতি বছরের ২ মে ছাদেক আলী হাওলাদারের কন্য ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী (১৩) কে দক্ষিণ গৈলা (বড়ই তলা) গ্রামের আলম আকনের পুত্র শাওন আকন (২৪) ধর্ষণ করে। ওই দিনই ধর্ষিতার মা হেনা বেগম আগৈলঝাড়া থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ পরের দিন ধর্ষক শাওনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। মামলা দায়েরের পর থেকে অব্যাহতভাবে ধর্ষক শাওনের পিতা আলম আকন ও তার অনুসারীরা মামলা তুলে নিতে নানা ভাবে ধর্ষিতার পিতা ও পরিবারকে চাঁপ দিতে থাকে। গত ১৯ জুলাই মামলা নির্ধারিত তারিখে মামলার বাদী হেনা বেগম তার স্বামী ছাদেক আলী বরিশাল আদালতে গেলে ধর্ষকের পিতা আলম আকন ও তার অনুসারী সাইফুল মৃধা ভাড়া করা ক্যাডার দিয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকী দেয় বলে ছাদেক আলী সাংবাদিকদের জানান। তিনি আরও বলেন, আলম ও সাইফুল আমাদেরকে বলে শাওনেরে জামিনে আইন্না লই তোগো বেয়াকটিরে দেহাইয়া দিমু। ছাদেক আলী এ বিষয়ে ২০ জুলাই আগৈলঝাড়া থানায় সাধারণ ডায়েরী নং-৭৫৫ দায়ের করেন।