নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিলেন ঢাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী করিম দাড়িয়া (৪৫)। পথিমধ্যে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার ভোররাতে তিনি মৃত্যুবরন করেন। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার রাত আটটার দিকে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার ইল্লা গাইনেরপাড় নামকস্থানে।
জানা গেছে, উজিরপুর উপজেলার পশ্চিম ধামুড়া গ্রামের মৃত গনি দাড়িয়ার পুত্র করিম দাড়িয়া দীর্ঘদিন থেকে ঢাকায় কাঁচামালের ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। তার বৃদ্ধা মা, স্ত্রী, ১ পুত্র ও ১ কন্যা গ্রামের বাড়িতে বসবাস করেন।
শনিবার (৩০ জুলাই) সকালে করিমের বৃদ্ধা মা হায়াতুন নেছা (৮৫) বার্ধ্যকজনিত কারনে গ্রামের বাড়িতে মারা যায়। মোবাইল ফোনে মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে ঢাকার একটি সিএনজি গ্যারেজে কর্মরত করিমের পুত্র মনির দাড়িয়াকে (২৫) সাথে নিয়ে ওইদিন দুপুরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন করিম। তারা মাওয়ায় পৌঁছে বরিশালগামী যাত্রীবাহি মাইক্রোবাসে রওয়ানা হন। মাইক্রোবাসটি মহাসড়কের গৌরনদীর ইল্লা গাইনেরপাড় নামকস্থানে পৌঁছলে মাইক্রোবাস ও বিপরীতদিক থেকে আসা ট্রাকের মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত ও করিম দাড়িয়া তার পুত্র মনির দাড়িয়াসহ ৮ জন গুরুতর আহত হয়। প্রথমে তাদের গৌরনদী ও পরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার ভোররাতে করিম দাড়িয়া মারা যায়।
ধামুরা গ্রামের আবুল কালাম জানান, দূর্ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার রাতেই করিমের বৃদ্ধা মা হায়াতুন নেছাকে মাটি দেয়া হয়েছে। রবিবার সকালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত করিমের লাশ তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনদের আহাজারিতে পুরো এলাকার আকাশ বাতাস ভাড়ি হয়ে ওঠে। ওইদিন দুপুরে মায়ের কবরের পাশ্বেই করিমকে মাটি দেয়া হয়।