এখন ধ্বংসের দ্বার প্রন্তে পৌঁছেছে। এক বিএনপি নেতার ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান বানিয়ে আত্মীয়করন করে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে কলেজে। ফলে বর্তমানে কলেজটি শিক্ষার্থী ও মেধাবী শিক্ষক সংকটে ধুকছে। তাছাড়া এখানে নেই লেখাপড়ার কোন পরিবেশ। যে কারনে বিগত বছরের ন্যায় এবারো এইচএসসির ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে একলেজের। এসব বিষয় আমলে নেন না একলেজের সভাপতি বিএনপি নেতা ওএসডি যুগ্মসচিব মোঃ সামছুল আলম ।
২০০০ সালে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বর্তমান পৌর মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা কামাল উদ্দিন খানের সার্বিক সহযোগিতায ও তৎকালীন অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন বাবুলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ভাল ভাবেই কাট ছিল এর শিক্ষা কার্যক্রম । ২০০১ সালে বিএনপি –জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতাগ্রহনের পরই কলেজটির প্রতি কুনজড় পড়ে বিএনপি নেতা ওএসডি প্রাপ্ত যুগ্ম সচিব সামছুল আলমের । সে তৎকালীন সরকারের প্রভাব খাটিয়ে কলেজের সভাপতির দ্বায়িত্ব নিয়েনেয় । এরপরই শুরু হয় আত্মিয়করনের কাজ । প্রথমে কলেজের গ্রন্থাগারীক হিসেবে চাকুরীদেন তার আপন বোন সালমা বেগমকে , বগ্নিপতি এসএম মমিনুৈ ইসলামকে সমাজকল্যান প্রভাসক হিসেবে , ভাবি মিসেস রাবেয়া বেগমকে সমাজ কল্যান প্রভাসক, ভাইয়ের শালি দিররুবা আফরোজকে জীববিজ্ঞানের প্রভাষক ও ফুপাতো ভাইয়ের স্ত্রী ইসরাত জাহানকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রভাসক পদে নিয়োগ প্রদান করেন অবৈধ উপায়ে। এদের নিয়োগের বেলায় অক্ষাত পত্রিকায় চাপা ( গোপন বিজ্ঞপ্তির ) মাধ্যমে নিয়োগ বৈধকার হয় ।
কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মর্তুজার মৃত্যুর পর সম্পুর্ন অবৈধ ভাবে কলেজের ৯ম তম প্রভাসক গিয়াস উদ্দিনকে ভার প্রাপ্ত অধ্যক্ষের দ্বায়িত্ব দেন তিনি কারন ভার প্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিএনপির কর্মী ও তার দলীয় লোক তাই। তাকে যেভাবে চাইবেন সে সেভাবেই কাজ করবেন একারনে । কলেজের শিক্ষার্থী অবিভাবক মোসলেম উদ্দিন বলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দ্বায়ীত্ব নিয়ে গিয়াস উদ্দিন কলেজের সরকারী অনুদান এমনকি বিভিন্ন ভাইচারে প্রায় ৪ রাখ টাকা আত্মসাত করেছে । পরে এবিষয়টি সর্বমহলে চড়িযে পরলে সভাপতি তাকে সরিয়ে এবার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে যুদিষ্টি সরভাগ্যকে নিয়োগ দেন । বর্তমানে একলেজে একজন জীববিজ্ঞানের প্রভাসক নিয়োগ করা হবে । সেখানে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই সভাপতি তার আপনজনকে নিয়োগদেয়ার জন্য উঠেপরে লেগেছে । এবিষয়ের প্রতিবাদ করায় সভাপতি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে গালমন্দকরে কলেজ থেকে বেরকরে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঐ অবিভাবক ।
এখানে সভাপতি যেভাবে চান সেভাই সব কিছু হয়ে থাকে । তার আপন ও নিকটাত্মিয়দের নিয়োগ দিয়ে ইচ্ছেমত চলছে এর পাঠদান কার্যক্রম । শিক্ষকরা তাদের ইচ্ছেমত ক্লাসে আসেন আবার ইচ্ছেমত পাঠদান করেন এখানে কোন নিয়ম নীতির বালাই নেই ।
কলেজের সভাপতি সামছুল আলম’র কারনে একের পর এক অনিয়মের জন্ম দিয়ে কলেজের শিক্ষার পরিবেষ নষ্টকরে ফেলা হয়েছে । বর্তমানে কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ঢাকায় বসেই এটি পরিচালনা করে আসছেন । তার ঢাকার বাসায় বসেই শিক্ষকদের মাসের বেতনের মানথলি পে-অর্ডারে স্বক্ষর ও কলেজের যাবতিয় কাজ সারেন তিনি । সেক্ষেত্রে মাসের ৭ দিনই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে তাকতে হয় ঢাকায় । সভাপতি সামছুল আলম বছরে বা তিন চার বছরেও একদিন কলেজে আসেন না । তাছাড়া কলেজের কোন শিক্ষার্থীও তাকে চেনেন না বলে দাবী করেন কলেজের শিক্ষার্থী অবিভাবকরা ।
সূত্র জানায়,কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন গত দুমাস যাবত কলেজে অনুপস্থিত রয়েছেন । সে ঢাকায় সভাপতির ফুট ফরমায়েস খাটছেন ফের ঐ পদে নিয়োগের আশায় ।
বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ যুদিষ্টি সরভাগ্য বলেন, সভাপতি কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগ নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই । সে গিয়াসকে ফের ঐ পদে আনার জন্র উঠে পরে লেগেছেন । তিনি বলেন আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দ্বায়ীত্ব দেযার পর গিয়াস উদ্দিন কলেজের কোন কাগজ পত্র আমাকে বুঝিয়ে না দিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছেন কোন প্রকার ছুটি ছাটা ছাড়াই । তার মতে কলেজের বর্তমান অবস্থা খুবই শোচনিয় । কারন হিসেবে তিনি বলেন সভাপতির নিকটাত্মিয়দের দাপটে আমাদের অন্য শিক্ষকদের থাকতে হচ্ছে তটস্থ । ফলে পাঠদান ব্যাহত হওয়ার পাশা পাশি কলেজের সার্বিক পরিস্থিতি এখন করুন ।
এসব বিষয়ে আলাপকালে কলেজের ১১ বছর দ্বায়িত্বে থাকা সভাপতি ওএসডি প্রাপ্ত যুগ্ম সচিব মো: সামছুল আলম’র ০১৭১১৭৩০২৯৮ নম্বরে ফোন করলে সে সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেদেন ।