তারেক রহমান কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলে সহায়তা করা হবে

প্রদান করা হতে পারে। বাংলাদেশ সরকার কতৃক বিরোধী দল দমনে চলমান অত্যাচার নির্যাতনের উপর এক উপস্থাপনায় অন্টারিও প্রদেশের কিচেনার সিটির মেয়র CARL ZEHR তারেক রহমানকে কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয়দানের আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেছেন। ৩০ জুলাই কিচেনার সিটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিরোধী দলের ওপর বাংলাদেশ সরকারের ‍অত্যাচার নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজ, ছবি ও সংবাদ নিয়ে একটি উপস্থাপনার আয়োজন করেন ছাত্রদল নেতা এম এইচ মামুন। এ অনুষ্ঠানে কিচেনার সিটি মেয়র, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, UNHCR সহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

মূল উপস্থাপনায় আওয়ামীলীগ সরকারের নানাবিধ ফ্যাসিস্ট কার্যক্রমের উল্লেখ করতে গিয়ে সরকার কতৃক তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে একদলীয় শাসনের প্রচেষ্টার বর্ণনা করা হয়। এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ২১ আগস্টের গ্রেনেড মামলায় বানোয়াটভাবে জড়ানো এবং শান্তিপূর্ন হরতালে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর পুলিশের বর্বরোচিত হামলার ছবি, ভিডিও চিত্র, এবং খবর তুলে ধরা হয়। সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বাড়িতে ঢুকে র্যাব-পুলিশের বর্বরোচিত হামলা ও মহিলাদের উপর নির্যাতন, প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ান ও বিএনপির ষ্টান্ডিং কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর উপর পুলিশ ও গোয়েন্দাদের নির্যাতনের চিত্রও তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া আওয়ামী সরকার কতৃক বিরোধী দলের উপর মধ্যযুগীয় পন্থায় বর্বর আক্রমনের নানাবিধ ভিডিও ফুটেজ ও আলোকচিত্র আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধিদের কাছে উপস্থাপন ও হস্তান্তর করা হয়।

নারায়নগঞ্জ শহর ছাত্রদলের সভাপতি এম.এইচ.মামুন উপস্থিত প্রতিনিধিদের কাছে বাংলাদেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির বর্ননা করে তারেক রহমানের সর্বশেষ অবস্থা বিশদভাবে তুলে ধরেন। এ উপলক্ষে জনাব মামুন জানান, বর্তমানে তারেক রহমান চিকিৎসা ভিসায় বৃটেনে আছেন। বর্তমান সরকার তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে ও গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে তাকে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার চক্রান্ত করছে। দেশে ফিরিয়ে নিয়ে তার উপর ১/১১ সরকারের মতই আবার অত্যাচার করার আশংকা রয়েছে। সরকারের দেশবিরোধী নানাবিধ কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় তারেক রহমানের ওপর প্রতিহিংসা চারিতার্থ করে তাকে শেষ করে দিতে চায় ফ্যাসিষ্ট সরকার। তারেক রহমান একজন রাজনীতিক। বাংলাদেশ সরকারের মিথ্যা মামলা ও হয়রানির প্রেক্ষিতে তারেক রহমান কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকলে ভাল থাকবেন। কিচেনার সিটি মেয়র CARL ZEHR তার বক্তব্যে বাংলাদেশে চলমান অত্যাচার নির্যাতনে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং সরকারেকে অবিলম্বে এহেন অগণতান্ত্রিক কর্মকান্ড বন্ধের আহবান জানান। তারেক রহমান কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলে মি. জেহর তার সার্বিক সহযোগিতা ও সমর্থনের কথা ব্যক্ত করেন।

 

অত্যাচার নির্যাতনের বিভিন্ন ফুটেজ দেখে বিভিন্ন মানবাধিকার কর্মীরা বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যান। একটা নির্বাচিত সরকারের সময়ে এ সব ঘটায় তারা দেশের গণতান্ত্রিক মানদন্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এসব কর্মকান্ড সভ্য সমাজ ও বিশ্ব মানবাধিকার মানদন্ডের পরিপন্থি। বাংলাদেশ বহু আগেই জাতিসংঘের মানবাধিকার ঘোষণায় সাক্ষর করেছে। তাই মানবাধিকার সংরক্ষণ ও বিরোধীদলের মত ও বাক স্বাধীনতা রক্ষার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে নির্যাতন বন্ধে তাগিদ দেয়ার কথা ব্যক্ত করেন।