বরিশালে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে উৎসাহী কৃষকরা

কেন্দ্রে নিজস্ব ট্যানেলে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ দেখে উৎসাহীত হচ্ছে কৃষকরা।  বাংলাদেশের অনেক জেলায় ‘গ্রীষ্মকালীন টমেটো’ চাষ হলেও বরিশালে এখনও তা ব্যাপকতা পায়নি।

বরিশালের রহমতপুর আঞ্চলিক কৃষি গবেষনা কেন্দ্র এ টমেটো চাষ বরিশালের মাটির উপযোগী করতে ১৯৯৬ সাল থেকে গবেষনা করছে। তখন ‘টমেটো টোন’ নামের হরমোন দিয়ে এ টমোটো ফলানো হতো। ২০০৭ সাল থেকে শুরু হয় হরমোনবিহীন ‘গ্রীষ্মকালীন টমেটো’ চাষ। ‘বারী-৪’ নামের এ টমেটো চাষাবাদের জন্য কৃষকদের মধ্যে বিতরন করা হয়েছে। বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় গত বছর এ জাতের টমেটো চাষে ফলন হয়েছে ভালো। এখনও গবেষনা চলছে কোন সময়ে কোন বীজ ভালো ফলন দিবে। বাবুগঞ্জ উপজেলার গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষী নুরুল আমীন জানান এ বছর শীতকালীন টমেটো চাষ করে উল্লেখযোগ্য সফলতা পাইনি তাই অধিক ফলন ও ভাল লাভের জন্য আঞ্চলিক কৃষি গবেষনা কেন্দ্র থেকে পরার্মশ নিয়ে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ শুরু করি। ফলন দেখে মনে হচ্ছে সফলতা পাব।

গবেষনা কেন্দেটির মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হাফিজউল্লাহ জানান, উচুঁ জমিতে ট্যানেল (সাদা পলিথিনের সেড) তৈরী করে টমেটো চাষ করতে হয় বলে খরচ একটু বেশী হয়। তবে অফ সিজনের সবজি বলে দাম পাওয়া যায় খুব ভালো। গরমের সময় হেক্টর প্রতি  উৎপাদন হয় ২৫ থেকে ৩০ টন। শীতকালেও একই জাত ব্যবহার করা যায় । তখন হেক্টর প্রতি  ৬০ থেকে ৭০ টন ফলন হয় বলে তিনি জানান। তার মতে শীত মৌসুমে টমেটো বিক্রি করে যারা বেশী লাভবান হতে পারেননি তারা গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে সে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন। এ টমেটো বাড়ির ছাদেও চাষ করা যায়।