সেহরি-ইফতার-তারাবীহ তিন সময়েই সমান কষ্ট

বরিশালের গৌরনদীসহ পাশ্ববর্তী আগৈলঝাড়া ও উজিরপুর উপজেলাবাসী। গত তিনদিনে অসহনীয় গরমের সাথে পাল্লাদিয়ে এসব উপজেলায় বেড়েছে বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিং। পবিত্র রমজান মাসেও এখানে মানা হচ্ছেনা বিদ্যুত মন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতি। মন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী ৩০ মিনিটের অধীক সময় লোডশেডিং না দেয়ার কথা বলা হলেও এখানে ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। পবিত্র মাহে রমজান মাসে এসব উপজেলার মুসুল্লীদের সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে সেহ্রি, ইফতার ও তারাবীহ-র নামাজের সময়। এ তিন সময়ে এসব উপজেলার অধিকাংশ এলাকায়ই বিদ্যুত থাকেনা। উপজেলা সদর ও পৌর সদরে নামেমাত্র বিদ্যুত সরবরাহ করা হলেও তা ৩০ মিনিটের বেশি স্থায়ী হচ্ছেনা। উপজেলা ও পৌর সদরের অধিকাংশ এলাকায় ২৪ ঘন্টায় ৪ ঘন্টাও বিদ্যুত সরবরাহ করা হচ্ছেনা।

প্রথম তারাবীহ’র রাতে বিদ্যুত না থাকায় ইতিপূর্বে পৌর এলাকার গেরাকুল মহল্লার মুসুল্লীরা পবিত্র রমাজান মাসে সেহ্রি, ইফতার ও তারাবীহ-র নামাজের সময় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সভা করেছেন। বক্তারা পল্লী বিদ্যুতের স্থানীয় অফিসের কর্মকর্তাদের হুশিয়ারি উচ্চারন করে বলেন, পবিত্র রমজান মাসে নিরবিচ্ছিন বিদ্যুত সরবরাহ করা না হলে তারা বিদ্যুত বিল পরিশোধ বন্ধ করে দেয়াসহ কঠোর আন্দোলনের ঘোষনা করবেন। একই দাবিতে বুধবার বিকেলে গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের মাহিলাড়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পল্লী বিদ্যুতের গৌরনদী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আবু বক্কর শিবলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুত পাওয়ায় ঘন ঘন লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।