গৌরনদীতে উপজেলা প্রশাসনের টিসিবির দোকান পরিদর্শন

দৈনিক পত্রিকায় গৌরনদীতে টিসিবি’র পণ্য কালো বাজারে বিক্রির অভিযোগ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে স্থানীয় প্রশাসনের  টনক নড়ে। আজ বুধবার দুপুরে গৌরনদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহ্ আলম খান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সরকার কর্তৃক ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)র নিয়োগকৃত ডিলারের গৌরনদী ও টরকী বন্দরের দোকান পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ডিলারদের দোকান পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রনে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) গত ২১ জুলাই ৫ টি পন্য নিয়ে গৌরনদীতে কার্যক্রম শুরু করে। এতে গৌরনদী পৌর এলাকার টরকী বন্দরে মেসার্স শিশির কুন্ড, গৌরনদী বন্দরে মেসার্স এভারেস্ট ট্রেডিং ডিলার নিযোগ দেয়া হয়। প্রত্যেক ডিলারকে বিক্রির জন্য ১০২টাকা লিটার দরে সয়াবিন তৈল, ৬৮ টাকা কেজি দরে মসুরির ডাল, ৫৮ টাকা কেজি দরে চিনি, ৫৮ টাকা কেজি দরে ছোলা, ৭০ টাকা কেজি দরে জাহেদী সাহের খেজুর এবং ৫৫ টাকা কেজি দরে খায়ের খেজুর বিক্রির জন্য মূল্য নির্ধারন করা হয়। বরিশাল টিসিবি ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ জুলাই গৌরনদী পৌর এলাকায় টরকী বন্দরে মেসার্স শিশির কুন্ড, গৌরনদী বন্দরে মেসার্স এভারেস্ট ট্রেডিং নামের প্রতিষ্ঠান দুটি উল্লেখিত ৫টি পন্য উত্তোলন করেন। প্রতিটি ডিলার ২ মেট্রিক টন চিনি, ১ হাজার ২ শ’ লিটার সয়াবিন তৈল, ৫শ কেজি মসুরির ডাল, ৫শ’কেজি ছোলা, ২৫০ কেজি জাহেদী সাহের খেজুর,২৫০ কেজি খায়ের খেজুর উত্তোলন করেন।

সরেজমিনে সোমবার দুপুর পর্যন্ত গৌরনদী বন্দরে গিয়ে কোথাও টিসিবির পন্য বিক্রয়ের ডিলারের দোকান খুজে পাওয়া যায়নি। টিসিবি’র পন্য কালো বাজারে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া যায়। কয়েকটি জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকায় এ সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর মঙ্গলবার থেকে টিসিবি’র ডিলাররা দোকান খুলে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে।