বরিশালে অপসো স্যালাইনের কারখানার তিন কর্মকর্তা সাসপেন্ড

শ্রমিক বিক্ষোভের পর সমঝোতা বৈঠক হয়েছে। বৈঠক শেষে ঢাকা থেকে আসা কোম্পানীর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ (এইচ আর) আহাদুর রহমান তমাল জানান, শ্রমিকরা ব্যাপক ভাংচুর করায় আগামী ৬ দিনের জন্য কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শ্রমিকদের দাবীর প্রেক্ষিতে তাদের প্রত্যেকের বেতন ৫শ’ টাকা বাড়িয়ে ধার্য্য করা হয়েছে। দৈনিক টিফিন ১০ টাকার পরিবর্তে ২০ টাকা করা হয়েছে। অভিযুক্ত তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের আনিত অভিযোগ কোম্পানীর পক্ষ থেকে এবং শ্রম অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে তদন্ত দল তদন্ত শেষে যে সুপারিশ করবেন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও শ্রমিকদের অবসরকালীন ভাতা, বোনাস ও বাৎসরিক ছুটির বৈষম্য দূরিকরন এবং চিকিৎসাভাতা প্রদান ও ফ্যাক্টরীতে সার্বক্ষণিক একটি এম্বুলেন্স রাখার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। কোম্পানীর জেনারেল ম্যানেজার পর্যায়ক্রমে এসব দাবী পূরণ করবেন বলে ঢাকা থেকে আসা কোম্পানীর প্রতিনিধি দল জানান। রবিবার বিকেল ৪টায় কর্মকর্তাদের সাথে শ্রমিকদের ঐ বৈঠক চলাকালে কোম্পানীর প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইদুর রহমান ছাড়াও গ্লোবাল ক্যাপসুল ও অপসোনিন’র মুল কারখানার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা থেকে আসা কোম্পানীর অপর কর্মকর্তা জাফর আহমেদ ওসমানী জানান, দু’ ঘন্টার বৈঠকের পর তারা শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়ায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ কর্মসুচী প্রত্যাহার করে ফ্যাক্টরী ত্যাগ করেছে।

শনিবার সকাল থেকে অপসো স্যালাইনের কারখানা ও গ্লোবাল ক্যাপসুলের দু’টি কারখানা শ্রমিকদের দখলে ছিলো। মালিকের পেটোয়া বাহিনী হিসেবে পরিচিত তিন কর্মকর্তার স্বেচ্ছ্বাচারিতা হয়রানীর প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। শ্রমিকরা জানায় তাদেরকে রমজান মাসে ইফতারীর টাকা দেয়া তো দূরের কথা ঈদ বোনাস পর্যন্ত পরিশোধ করা হয় না। কোম্পানীর লোকজন ফ্যাক্টরীতে ব্যাপক ভাংচুর ও ক্ষয়ক্ষতির কথা জানালেও কত টাকার ক্ষতি হয়েছে তা জানাতে পারেনি।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি শাহিদুজ্জামান জানান, মালিকপক্ষের সাথে শ্রমিকদের বৈঠকের পর শ্রমিকরা কারখানা ত্যাগ করেছে। উভয় কারখানা মালিকপক্ষের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।