বাকেরগঞ্জে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন

কারখানা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী শতরাজ বন্দরের অর্ধশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পেতে দোকান সরিয়ে নিয়েছে অনেকে।

গত শনিবার রাতে আকস্মিক নদী ভাঙ্গগন বৃদ্ধি পায়। ঐ রাতেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় ৩০টির বেশী দোকান। ভাঙ্গনের তীব্রতা বেশী থাকায় ব্যবসায়ীরা কোন মতে জান রক্ষা করতে পারলেও মালামাল এবং অবকাঠামো রক্ষা করতে ব্যর্থ হন। গতকাল রবিবারও নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায় ২০টির বেশী দোকান। ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় অনেক ব্যবসায়ী তাদের অবকাঠামো খুলে এবং মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন। আকস্মিক এ নদী ভাঙ্গনে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের। এর আগে গত জুলাই মাসে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গনে এ বাজারের প্রায় অর্ধ শত দোকান কারখানা নদীর গ্রাসে হারিয়ে যায়।
বাজার কমিটির সভাপতি আবু বকর মৃধা জানান, অধিকাংশ ব্যাবসায়ী বিভিন্ন এনজিও’র কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করে আসছিলো। নদী ভাঙ্গনে সম্বল হারিয়ে তারা এখন দিশেহারা। বাজারের অদূরে এলজিইডি’র অর্থায়নে নির্মিত একটি আয়রন ব্রীজও হুমকীর মুখে পড়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান নিজাম মাস্টার জানান, জরুরী ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের পূণর্বাসন ও ভাঙ্গনের কবল থেকে শতরাজ বন্দর রক্ষার ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

স্থানীয় সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টি মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার জানান, নদী ভাঙ্গনের খবরে তার হৃদয়ে রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে। অনতি বিলম্বে ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান তিনি।

তিনি বলেন, ইতিপূর্বে পানিসম্পদ মন্ত্রীকে নিয়ে বাকেরগঞ্জে একটি অনুষ্ঠান করার কথা ছিল। কিন্তু স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ দ্বিমত পোষন করায় অনুষ্ঠানটি হয়নি। যদি ঐ অনুষ্ঠানটি সফল হতো তবে বাকেরগঞ্জের বিভিন্ন নদীতে বাঁধ ও পাইলিং নির্মান করে নদী ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব হতো।