মুলাদীতে অপহরন মামলার আসামিকে ছাড়িয়ে নিলেন প্যানেল মেয়র

ছাড়িয়ে নিলেন  মুলাদী পৌরসভার প্যানেল মেয়র আব্দুর রব। ভাই জালাল হাওরাদারের ছেলে হুমায়ন হাওলাদার তেরচর গ্রামের রশিদ হাওলাদারের মেয়ে নববধূ তানজু আক্তারকে তার বাবার বাড়ী থেকে অস্ত্রের মুখে জীম্মিকরে অপহরন করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তানজু আক্তারের স্বামী সুজন মোল্লার দায়ের করা মামলার আসামী জালাল হাওলাদারকে পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে তার বন্দরের বাসা থেকে আটক  করে। এরপরই শুরু হয় ক্ষতার দাপট আর টাকার খেলা। দুপুরে মূলাদী পৌর সভার প্যানেল মেয়র আব্দুর রব হাওলাদার নিজে থানায় গিয়ে তার ভাইকে ছাড়িয়ে নেন। তবে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেহরাব আলী তখন তিন দিনের মধ্যে মেয়েকে ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রতি বা মুচলেকা রেখেদেন প্যানেল মেয়রের কাছ থেকে। বিষয়টি নিয়ে দিন ভর মূলাদী পৌর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যেও সৃষ্টি হয়।  

মামলার বাদী হিজলা উপজেলার ঘোষের চর গ্রামের সুজন মোল্লা জানান, গত মঙ্গলবার ৯ আগস্ট মূলাদীর তেরচর গ্রামের রশিদ হাওরাদারের মেয়ে তানজু আক্তারের সাথে উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয় । বিয়ের পর থেকে সে তার শশুরালয়ে অবস্থান করেন । গত বুধবার গভীর রাতে মূলাদী বন্দরের জালাল হাওলাদারের ছেলে হুমায়ন তার সন্ত্রাসী বাহীনি নিয়ে শশুরালয়ে হামলাকরে । তারা অস্ত্রের মূখে ঘড়ের অন্যদের জীম্মিকরে ¯¦র্ণালংকার সহ ৩ লাখ টাকার মালামাল ও আমার স্ত্রী তানজু আক্তারকে অপহরন করে নিয়ে যায় । রাতেই বিষয়টি মূলাদী থানা পুলিশকে অবহিত করা হয় । সকালে এ ঘটনায় হুমায়ন হাওলাদার তার বাবা জালাল হাওলাদার সহ ৫ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয় । পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে হুমায়নের বাবা জালাল হাওলাদারকে আটক করে।

প্যানেল মেয়র রব হাওলাদার বলেন, সকালে তার ভাইকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায় খবর পেয়ে সে থানায় যোগাযোগ করেন। দুপুরে থানাথেকে ভাইকে ছাড়িয়ে আনা হয়েছে । তবে তিনি মুচলেকার বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এবিষয়ে আলাপকালে অপহরন ঘটনার কথা স্বিকার করে মূলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহরাব আলী বলেন, মামলা হয়নি তবে অভিযোগের ভিত্তিতে জালাল কে আটক করা হয়েছে । পরে প্যানেল মেয়র রব হাওলাদার ৩ দিনের মধ্যে তানজুকে উদ্ধার করে দেয়ার সর্তে তার ভাইকে ছাড়িয়ে নেয়।