বরিশালে হাতুড়িপেটার শিকার শ্রমিকের মামলা নেয়নি পুলিশ

অস্ত্রে গুরুতর জখমের শিকার শ্রমিক নেতা নূরে আলম নূরু চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রান নাশের হুমকিতে দিনাতিপাত করছেন। শনিবারও এই পরিবারের কোন অভিযোগ নেই নি পুলিশ। মিডিয়ার একটি অপশক্তির কারনে নাজির পোল এলাকার এই চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা বারবার এ ধরনের অপকর্ম করে পার পেয়ে যাচ্ছে। কেউ তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার জন্য থানায় যাওয়ার চেষ্টা করলে তার উপর পুনরায় হামলা চালান হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রক্তাক্ত অবস্থায় নূরু থানা পুলিশের কাছে গেলেও পুলিশ তার অভিযোগ গ্রহন করেনি। অথচ হামলাকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসী রফিকের মিথ্যে দায়েরকৃত অভিযোগ পুলিশ নিয়েছে। এ ঘটনায় বিএমপি’র পুলিশ কমিশনার সৈয়দ তোফিক আহমেদ জানান, পুলিশ মামলা নিবে না কেন, মামলা তো অবশ্যই নিবে। নুরুর পরিবার যখন লিখিত অভিযোগ দিবে তখনই সেটা মামলা হিসাবে রেকর্ড করা হবে। বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহেদুজ্জামান শাহেদ জানান, রফিকের অভিযোগ হাতে পেয়েছি। কিন্তু নুরুর পরিবার কোন লিখিত অভিযোগ দেয় নি। অভিযোগ পেলে মামলা হিসাবে রেকর্ড করা হবে। ওদিকে আহত নুরুর মা মমতাজ বেগমের বক্তব্য শনিবার রাতে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তাকে বলেছে এজাহার লেখার কোন লোক নেই। ফলে পুলিশ তাদের অভিযোগ না নিয়ে থানা থেকে বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করছেন নূরুর মা ও বোন।

জানা গেছে,নগরীর নাজির মহল্লা’র বাসিন্দা নুরু। বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের মোর সংলগ্ন স্থানে বৃহস্পতিবার সন্ধায় পূর্ব শত্র“তার জের ধরে সন্ত্রাসীরা তাকে হাতুড়িপেটা করেছে। বরিশাল সদর হাসপাতালের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখানে তার পাশে রয়েছেন মা মমতাজ বেগম, বোন আছমা, স্ত্রী লাকী বেগম। তারা আতংকে রয়েছেন। হাতুড়িপেটার এক দিন অতিক্রম হলেও সন্ত্রাসীরা হাসপাতালের বেডসহ আশপাশে ঘুরছে। মা মমতাজ বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ওরা আমার ছেলে নূরুকে বাচতে দেবে না।  আমার ছেলেকে ওদের হাত থেকে বাচান। নির্যাতনের পর পুলিশের শরনাপন্ন হলে কোতোয়ালী পুলিশ নোট রেখেছে। ঘটনার দিন রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় থানা থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই সন্ত্রাসীরা নুরু ও তার ছোট ভাই রুবেলকে পকেটে চাকু ঢুকিয়ে থানায় নিয়ে যায়।  তাদেরকে ডাকাত বলে প্রমান করার চেষ্টা করে। পুলিশ নূরুর রক্তাক্ত শরীর দেখে প্রথমে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হবার পরামর্শ দেয়। পরে সদর হাসপাতালে ভর্তি হলে পুনরায় সন্ত্রাসীরা তাকে মারার জন্য হাসপাতালের অভ্যান্তরে ঢুকে হুমকি দেয়।

আহত নূরু জানায়, নাজিরেরপুলের সন্ত্রাসী মনা, মনা খোকন, কালা, ফকর,ডলার শাহীন, রফিক,শাহীন অতর্কিকভাবে জেলখানার মোরে তার উপর হামলা চালায়। মাথায় হাতুড়ি ও ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এরা সাবই ৯৬’র শাষনামলের সেভেন স্টার বাহিনীর খোকন ওরফে মামা খোকনের ক্যাডার। এদিকে নাজিরমহল্লা মটরসাইকেল ইউনিয়নের সভাপতি আলাউদ্দীন খোকন জানান গত ২২ জুলাই মটরসাইকেল শ্রমিকদের নির্বাচন হয়। নির্বাচনের বিরোধকে কেন্দ্র করে এই অপ্রতিকর ঘটনা ঘটে।