চাঞ্চল্যকর জোড়া খুন আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করেছে দু’খুনী

দু’বন্ধুকে ডেকে নিয়ে হত্যা করার কথা আদালতে স্বীকার করেছে অপর খুনী দু’বন্ধু। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মাদারীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আলোচিত জোড়া খুনের বর্ননা দিয়ে জবানবন্দি দিয়েছে খুনী হাচান ও ইসমাইল হাওলাদার।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কালকিনি থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস.আই) অলিউজ্জামান জানান, বুধবার ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতারকৃত হাচান ও ইসমাইল হাওলাদারকে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মাদারীপুর আদালতে প্রেরন করা হয়। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ইউসুফ হোসেনের আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে খুনী হাচান ও ইসমাইল জবানবন্দি দিয়েছে। খুনীদের উদ্বৃতি দিয়ে তিনি আরো জানান, ঘটনার দু’দিন আগে (১২ আগস্ট) হাচান, ইসমাইল ও ভাড়ায় মটরসাইকেল চালক সুমন সরদার একটি মোবাইল ফোন ছিনতাই করে। ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরধরে হাচান ও ইসমাইল প্রটকল চালক সুমনকে হত্যার পরিকল্পনা গ্রহন করে। তারই ধারাবাহিকতায় তারা (খুনীরা) ১৪ আগস্ট রাতে কৌশলে সুমনের মটরসাইকেল ভাড়া করে। ওই মটরসাইকেলে সুমন তার বন্ধু রহিম হাওলাদারকে সাথে নিয়ে পাশ্ববর্তী কালকিনি দর্শনা আশ্রমের সন্নিকটে যায়। প্রথমে উপর্যুপরি ছুরিঘাকাত করে সুমনকে হত্যা করে রাস্তার পার্শ্বে ফেলে রাখা হয়। এসময় সুমনের বন্ধু রহিম ডাকচিৎকার শুরু করলে তাকেও একই ভাবে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর পরই তারা (খুনীরা) নিহত সুমনের মটরসাইকেল নিয়ে ইসমাইলের নিকট আত্মীয় পটুয়াখালীর র্মীজাগঞ্জ থানার রামপুর গ্রামের সবুজ তালুকদারের বাড়িতে আত্মগোপন করে। সেখানে মটরসাইকেল লুকিয়ে রেখে মঙ্গলবার রাতে তারা (খুনীরা) দু’জন লঞ্চযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। পরবর্তীতে তারা সদরঘাট এলাকায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়।