কৃষক নেতা রব সেরনিয়াবাতের

গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সৈয়দ মনিরুল ইসলাম বুলেট ছিন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব মিয়া, মাষ্টার শাহ আলম সরদার, ডাঃ মোতালেব খান, আলাউদ্দিন খন্দকার, এলএমজি সুরাত আলী সরদার, নুরুল হক, আব্দুর রব ফকির প্রমুখ। বক্তারা অনতিবিলম্বে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতসহ ১৫ আগস্ট ভয়াল কালো রাতে বরিশালের ৬ জন নারী-পুরুষসহ সাবেক চীফ হুইপ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর ৭ বছরের শিশু পুত্র সুকান্ত বাবু সেরনিয়াবাতের হত্যা মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করার দাবি জানান। সভাপতির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক সৈয়দ মনিরুল ইসলাম বুলেট ছিন্টু বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের হত্যার ঘটনাটি একই সূতায় গাঁথা। ঘাতকেরা একই নীলনকশায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালো রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আব্দুর রব সেরনিয়াবাতকে নির্মম ভাবে হত্যা করে।

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভয়াল কালো রাতে তৎকালীন পানি সম্পদ মন্ত্রি আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের মিন্টু রোডের বাড়িতে ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয়েছিলেন কৃষক কুলের নয়নমনি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, তার ভাইয়ের ছেলে সাংবাদিক শহীদ সেরনিয়াবাত, মেয়ে ববী সেরনিয়াবাত, ছেলে আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতী সুকান্ত বাবু সেরনিয়াবাত, বরিশাল ক্রিডেন্স শিল্প গোষ্ঠির সদস্য আব্দুর নঈম খান রিন্টু। এছাড়াও আরো ৯ জন আহত হয়েছিলেন। তারা হলেন-বেগম আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, শাহানারা আব্দুল্লাহ, বিউটি সেরনিয়াবাত, হেনা সেরনিয়াবাত, আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ, রফিকুল ইসলাম, ডাঃ খ.ম জিল্লুর রহমান, ললিত দাস ও সৈয়দ মাহমুদ।

১৯৯৬ সালে সাবেক চীফ হুইপ আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর সহধর্মিনী ও কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের উপদেষ্টা শাহানারা আব্দুল্লাহ বাদি হয়ে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। পরবর্তীতে বিগত বিএনপি-জামায়াতের চারদলীয় জোট সরকারের আমলে মামলাটির কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।