আগৈলঝাড়ার পিংকি মধুর জয় হলো

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ধর্ষিত হওয়ার পর স্ত্রীর মর্যদা নিয়ে বেঁচে থাকার দাবিতে ধর্ষকের বাড়িতে চার দিন অনশন করার পর গ্রামের মাতব্বরদের সহায়তায় দাবি পুরন হল ধর্ষিতার। বিয়ের পর নতুন করে বাচাঁর স্বপ্ন দেখছেন ধর্ষিত তরুনী। সালিশদের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে শুক্রবার রাতে হিন্দু ধর্মীয় শাস্ত্র মতে পিংকির বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।   

জানা গেছে, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার কাঠিরা গ্রামের জয়ন্ত মধুর কন্যা পিংকী মধুকে (১৯) একই গ্রামের নিমাই চন্দ্র ঢাকীর বখাটে পুত্র সুমন চন্দ্র ঢাকী (২৫) বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করে আসছিল। তরুনীর পরিবারের পক্ষ থেকে একাধিকবার বখাটে সুমনের পিতা নিমাই চন্দ্র ঢাকীর কাছে এ বিষয়ে বিচার দেয়া হয়। বখাটে সুমন এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। তরুনী পিংকি (১৯) গত ৮ সেপ্টম্বর রাতে পার্শ্ববর্তী বিশ্বাস বাড়ির লোকনাথ মন্দিরে নাম কীর্ত্তন শুনে তার সহদরকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলো। বাড়ি ফেরার পথে রাত সাড়ে দশটায় কাঠিরা বাজারের পশ্চিম পার্শ্বে পৌঁছলে নিমাই চন্দ্র ঢাকীর বখাটে পুত্র সুমন চন্দ্র ঢাকী (২৫) চার-পাঁচজন সহযোগীকে নিয়ে তাদের পথরোধ করে। এক পর্যায়ে তরুনীর ভাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মুখে টেপ লাগিয়ে বেঁধে রাখে। এ সময় বখাটে সুমন তরুনীকে নির্জন ভিটায় নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষিত হওয়ার পর ওই রাতেই ধর্ষিতা স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে ধর্ষকের বাড়িতে অনশন শুরু করে। চারদিন অমরন অনশনের পর এ নিয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর বিকেলে উপজেলার কাঠিরা গ্রামে ধর্ষক সুমন ঢাকীর বাড়িতে এক সালিস বৈঠকের আয়োজন করা হয়। ধর্ষকের অনুপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকের বিচারকদের সিদ্বান্তে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) গোধুলি লগ্নে ধর্ষকের সাথে ধর্ষিতার বিয়ের দিন ধার্য্য করা হয়।

ওই গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা দ্বিজেন বিশ্বাস বলেন, ধর্ষক সুমন গত শুক্রবার সকালে বাড়িতে ফিরে এসে বিয়েতে সম্মত আছে বলে তার পিতা নিমাই চন্দ্র ঢাকীকে জানায়। পিতা নিমাই সালিশদের নিয়ে স্থানীয় বারপাইকা লোকনাথ মন্দিরে বিয়ের আয়োজন করেন। রাতের লগ্নে মন্দিরের পুরোহিত নির্মল ব্যানার্জি হিন্দু ধর্মীয় শাস্ত্র মতে সামাজিক ভাবে বিয়ের যাবতীয় রীতিনীতি মেনে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন।