নিজস্ব সংবাদদাতাঃ “দল করি বিধায় প্রকল্পের সিপিসি করা হয়েছে। কাজ যা করার করেছি, বাকি টাকা কমিটির লোকজনকে নিয়ে ভাগাভাগি করে খেয়েছি।” এমন সাফ সাফ জবাব দিলেন বাগধা ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক, বাগধা আলিম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ও ওই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আ. রব মিয়া।
তিনি ২০১০-২০১১ অর্থ বছরে আগৈলঝাড়ায় এমপি’র কোঠার প্রথম কিস্তির ৭৭ নং প্রকল্পে বাগধা আলিম মাদ্রাসা ঘড় সংস্কারের জন্য ৩০ হাজার টাকা, একই অর্থ বছরে এমপি’র দ্বিতীয় কিস্তির বরাদ্দে ১০ নং প্রকল্প শফিজ উদ্দিন গামার কবর স্থান নির্মানের জন্য ৩০ হাজার টাকার দুটি প্রকল্পের সিপিসি ছিলেন। ক্ষমতা দেখিয়ে তিনি বাগধা ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পদ দখল করেছেন। একদিকে তিনি আওয়ামীলীগ নেতা অন্যদিকে বাগধা আলিম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ও ওই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য। দু’টি প্রকল্পে তিনি নিজে সিপিসি হয়ে তার অনুগতদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন দেখিয়ে প্রকল্পের অর্থ উঠিয়ে আত্মসাত করেছেন। তার এহেন কাজের বিরোধিতা করতে সাহস পায়নি ওই মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষক এমনকি সুপার নিজেও। ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এনায়েত উল্লাহকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিতে রাখা হয়নি।
ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়ে স্বেচ্ছাচারী ওই নেতা ছুটি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। নিজের ইচ্ছামত তিনি ছুটির দরখাস্ত টেবিলে রেখে চলে যান। আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে তিনি এলাকায় বিভিন্ন অনিয়ম ও অপকর্ম করছেন বলে নাম না প্রকাশের শর্তে আওয়ামীলীগের একাধিক হিতাকাংখি ব্যাক্তি অভিযোগ করেন। অভিযোগের ব্যাপারে রব মিয়া বলেন, দল করি বিধায় প্রকল্প দেয়া হয়েছে। কাজ যা করার করেছি, বাকি টাকা কমিটির দলীয় লোকজনকে নিয়ে ভাগাভাগি করে খেয়েছি।