বরিশালে ৩৫৫ টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দূর্গা পূজা

উম্মে রুম্মান, বরিশাল ॥  হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা শুরু হতে ৮ দিন বাকি থাকলেও গত ২০ দিন পূর্ব থেকেই বরিশাল নগরীর ভাটি খানা, ঝাউতলা, বাজার রোড, সদর রোড ও বটতলা এলাকাসহ  গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উজিরপুর, বানারীপাড়া, বাবুগঞ্জ, হিজলা-মূলাদী ও মেহেন্দিগঞ্জ ও বাখেরগঞ্জ  উপজেলায় শারদীয় দূর্গা পূজোর প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিমা তৈরির শিল্পীরা বর্তমানে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। অপরদিকে অনেকস্থানে পূজা উদ্যাপন পরিষদের কমিটি গঠনের কাজ চলছে। প্রতিবছর বরিশাল জেলার ১০ উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশনসহ ৩৫৫ টি মন্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এবার বরিশাল নগরীতে ২৭ টি, সদর উপজেলায় ১২ টি, বানারীপাড়ায় ২৫ টি, উজিরপুরে ৪০ টি,  বাকেরগঞ্জে ২৬ টি, বাবুগঞ্জে ১২ টি,   মূলাদী ১০ টি, হিজলা ৬ টি, মেহেন্দিগঞ্জে ১২ টি, গৌরনদীতে ৬৩ টি ও আগৈলঝাড়া উপজেলায় ১২২ টি মন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

পিরোজপুর থেকে আসা শিল্পী প্রবীর বিশ্বাস (৪৫) জানান, তারা আষাঢ় মাস থেকে প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেছেন। কাঠের কাঠামো, খড় কুটা দিয়ে প্রতিমার অবয়ব তৈরি করে তার ওপর এটেল মাটি দিয়ে দৃষ্টি নন্দনকড়া প্রতিমা তৈরি করা হয়। প্রতিমার শরীরের মাটি দ্রুত শুকানোর জন্য বৈদ্যুতিক ফ্যান ব্যবহার করা হয়। অনেকস্থানে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা না থাকায় সে সব মন্ডপের কমিটির নেতৃবৃন্দ আগে ভাগেই প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেছেন।

বাগেরহাট থেকে বরিশাল নগরীতে আসা প্রতিমা তৈরির শিল্পী মনোতোষ পাল (৪০) জানান, বড় সাইজের একটি প্রতিমা তৈরি করতে ৫-৬ জন শিল্পীর নূণ্যতম ১৮-২০ দিন সময়ের প্রয়োজন হয়। ছোট সাইজের প্রতিমা তৈরি করতে ১৪-১৫ দিন সময় লাগে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। প্রতিমা তৈরির জন্য চুক্তির মাধ্যমে তারা ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকেন। পূজো শুরু হওয়ার আগেরদিন পর্যন্ত বিরামহীন ভাবে রাত-দিন তাদের প্রতিমা তৈরি ও সাজানোর কাজ করতে হয় বলেও তিনি জানান। তার পূর্ব পুরুষও প্রতিমা তৈরির কাজ করতেন।

বরিশাল নগরীর সর্বজনীন পূজা উদ্যাপন কমিটির যগ্ম সম্পাদক সুরঞ্জিত দত্ত লিটু জানান, গত পনের দিন থেকে তাদের মন্দিরের প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। শেষ হতে আরো ২/৩ দিন সময় লাগবে। এ বছর তারা দূর্গা মন্দিরে রাম, লক্ষন ও হনুমানের প্রতিমা সংযোজন করেছেন। তিনি আরো জানান, প্রতিমা তৈরির শিল্পীদের সাথে ৩০ হাজার টাকা চুক্তির মাধ্যমে তারা প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেছেন।